অপরূপ রূপে এসেছে পুরুষ এই জগতের বুকে,
তার কপালের একটি তিলক নূর হয়ে জ্বলে সুখে।
সকলে ভেবেছে সে বুঝি দেবতা আসলে সে তাহা নয়,
দেবতারা তারে দিয়েছে যে শাপ তাই আজ ভুমিময়।
ছিলো সে স্বর্গে নিজের আবাসে মানুষের রূপে সে যে,
সেখান থেকে সে বিতাড়িত হলো এক দেবতার তেজে।
দিলো তারে শাপ স্বয়ং দেবতা আর ফিরবেনা সেথা,
যদি সে যে পারে করতে মোচন তবে হবে শুধু কথা।
নামলো জগতে অবুঝ এ প্রাণ বোঝেনা জগত হাল,
অপরূপ রূপে দেখে রমণীরা চেয়ে থাকে মহাকাল।
সেই করে করে সকল রমণী পড়লো যে তার প্রেমে,
সেই দেশে সব কন্যারা আজ তারে দেখে উঠে ঘেমে।
যেমন সুশ্রী তেমনি সবল তার দেহ খানা গড়া,
কাজের দ্বারা সে করছে বিজয় চলছে তাহার লড়া।
এমন করে যে জনপ্রিয়তাতে সে হলো দেশের হাল,
তার দিকে চেয়ে মানুষেরা আজ খুঁজেছে আগামীকাল।
অথচ অবুঝ শিশুর মতন বোঝেনা লোকের কথা,
বোঝেনা জগত বোঝেনা সে ঘর জাগায় কেবল ব্যথা।
অবশেষে দেশ রাজার নজরে পড়লো সে তার বেগে,
রাজা তারে দেখে ভাবে রাজনীতি তাই লেগে রয় মেগে।
অবুঝ বলে যে রাজনীতি করা তার লাগি সুকঠোর,
রাজা জানে সবি তবু যে প্রিয়তা দেখে জ্বলে মন দোর।
তাই রাজা তারে বানাবে মন্ত্রী ঠিক করে ফেলে তায়,
অবুঝের মতো সেই সে পুরুষ নিজ গান শুধু গায়।
দিনে দিনে রাজা অসূয়ার বিষে তারে দিতে চায় মেরে,
করে প্রতিবাদ সেই সে পুরুষ সকল পুলক ছেড়ে।
তার সাথে তবু অপরাধী রাজা করে চলে অবিচার,
কারো আছে কথা স্বৈরাচারীর রুদ্ধে যাবে সে ধাঁর।
তাই একা একা নিজের লেখায় প্রতিবাদ করে চলে,
সহসা দেবতা আসে তার কাছে পুরুষের মনে জ্বলে।
বলে সে দেবতা যদি তার হয় সত্যিকারের প্রেম,
তবে অভিশাপ মুছে যাবে তার মিলবে সুখের হেম।
খুঁজে চলে সে যে আপনার খোঁজে চাইছে অমন নারী,
যে কিনা এমন বিপদের কালে সাথী হবে সব ছাড়ি।
দেশের সকল ক্ষমতাবানের মেয়েরা পড়েছে প্রেমে,
তাই সে যে ভাবে দরকার তাই নেমে যায় প্রেম হেমে।
অথচ রাজাটি অসূয়ার বিষে পুড়ে পুড়ে নাজেহাল,
মেরে দিতে চায় তারে শুধু আজ লাগেনা রাজার ভাল।
অবশেষে সে যে মনে মনে চায় এমন একটা নারী,
যেবা কিনা দিবে তার লাগি আজ আপনার চোখ বারি।
পেয়ে যায় সেই অধরা রমণী পেয়ে যায় সে মুক্তি,
অন্য দেশের এক রমণীর প্রেমে পেলো সে যুক্তি।
ওদিকে রাজার হাল দেখে সবে হাসে যে উচ্চস্বরে,
জনগণের এ আক্রোশে আজ রাজাটি পালায় ডরে।
এদিকে দেবতা দিলো ছেড়ে তারে শাপ হয়ে গেল দূর,
জীবনের গানে মাতোয়ারা দোঁহে পেয়েছে আপন সুর।