সাঁঝে অবশ্রান্ত কাক শুনি দিয়েছে নিজের হাঁক ফিরে
যবনিকা নেমে আসে আঁধারের তানে
তখনি গোধূলি আঁকে নিজের আহ্বানে
বিষাদে সন্ধ্যার সেই বায়ু--
করেছে কোমল যেন আর প্রকৃতির খেলা আজ সুরে
বাতাস আমাকে চিনে বলে এসেছে আমার নিজ তীরে।
তখন আষাঢ় মাসে দেখি এসেছে বরষা বেগে হেনে
আঁধারে আঁধার লাগে সবি
শুনেছি আলয়ে রয়ে সেই -- রাগিণী ভৈরবী
আমার হৃদয় ক্লান্ত আজ পাখির মতন ঝাপ্টা মারে
সুরের কাহনে বুঝি শুনি রাগিণী বাজিছে সবি জেনে।
এমন উদাস কালে মৃত্যু ভাবনা এসেছে যেন মনে
মরণকে অবহেলা করে চলবো কি চালকের গানে;
মেনে নিয়ে চাই আসমানে
উদাসী বাতাস যেন ফের আসে ঢের শোনাতে রাগিণী;
অথচ তখনো আমি ফিরে নিজের মৃত্যুকে যে মাগিনি।
অবসন্ন পরানের কোলে কাকের ডাকের কথা ভাবি
বিষাদের চূর্ণ পাহাড়ের -- চূড়া আমার হলোনা ছোঁয়া
জীবনের কাল গেলো খোয়া
কেমনে হবো যে আমি আর
চোখে নামে অকূলপাথার
নিজের আলয়ে শুনি ফিরে আসে কাকের সে সুর পুনঃ
করেছি সকল আমি বুঝে একাকীত্ব পেয়ে মৃত্যু দাবি।
অথচ ঘুমের স্রোতে ডুবে আমার এ অবশ্রান্তি যায় কেটে
জীবনের সব গ্লানি মুছে
স্বপনকে চলি আমি পুছে
নেই হয়রানি--
জেগে দেখি প্রভাতের দোরে সেই কাক ছুটে চলে কাজে
আমার জীবন যেন আজ কাকের সাদৃশ্য পোষে খেঁটে।