নির্জলা আতঙ্ক আজ আমাকে ঘায়েল করে আমার মানসপটে
নির্মোকে বাজেনা সুর নির্ঘোষ তুলেছে শুনি দুন্দুভির সে রাগিণী;
বিজয়ের ধ্বজা যেন খুঁটিসহ ভেঙে পড়ে কতো কিছু আজ ঘটে
এতো আঘাতের পরে আমার হৃদয় তবু ঘুম থেকে যে জাগেনি।
উদ্দীপ্ত কামনা সব ফসিল প্রেমের গায়ে জমেছে ক্ষীরোদ হয়ে;
তোমায় পাবার ইচ্ছা ভূলুণ্ঠিত হবে আজ প্রণয় না আসে ক্ষয়ে।।
আমায় মরণ যেন নিজের শার্শিকে মেলে ডেকে চলে আয় আয়
কিছু সলিলের চিহ্ন রক্তের ফোটার মতো লেগে আছে মন কাঁচে;
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের দিকে চক্ষু রেখে দেখি জেনেটিক্স দিলো সায়
মানুষের রূপে এসে মানুষকে ভালোবেসে বেঁচে আছি সেই আঁচে।
আতঙ্ক জাগায় প্রাণে এর নাম বেঁচে থাকা আছি আমি রয়ে রয়ে;
তোমায় যে হারবার ইচ্ছা জাগেনা হিয়ায় তবু প্রেম পড়ে ক্ষয়ে।।
দূরের আকাশ তারা দেখে ভাবি কতো ছোট অথচ বিশাল তার--
পরিসর আঁকে যেন আগুনের লেলিহান সেই দ্যুতি চোখে দেখা;
রবিটির মতো করে আলো দিয়ে চলে তারা নিজ গ্রহাণুর ভার
তাদের নিকট থেকে নিজেকে প্রশস্ত করি উদার হইতে শেখা।
তোমাকেই ভালোবেসে করেছি সকল কিছু আছ আঁচ সয়ে সয়ে;
সকল কিছুর জানি রয়েছে পরিধি ভার ভালোবাসা আসে ক্ষয়ে।।
রয়েছো হয়তো দূরে নিঃসীম এ সীমানার এই বিশ্ব বুকে থেকে
আসেনি মরণ আর তোমার দেহের বুকে যৌবনা নারীর দেহে;
হয়তো ভাষণ এক নহে জানি আমাদের ভাষা ভিন্ন যাও এঁকে
বিদেশিনী আজ আমি ডেকেছি তোমায় শুধু প্রণয়ের চণ্ড নেহে।
আতঙ্ক যে গ্রাস করে তোমাকেই হারাবার অনন্ত অসীম ভয়ে;
লোহার মতন করে পৃথ্বীর বাহির থেকে ভালোবাসা আসে ক্ষয়ে।।
ভাবিনি কখনো আমি তোমার হৃদয় তটে ভিড়িবে আমার তরী
রহস্যময়তা মেখে তোমার মনের কূলে মন্দ্রিত মঞ্জরী ফোটে;
বয়ে চলা নেয়ে আমি মুছে দিতে চাই সবি আমাদের বিভাবরী
তাই সেই বাসনার উদ্বেল লহরী আসে আমার পানসী ছোটে।
তোমায় পাবার আশা মুছেছে আতঙ্ক মনে তোমার হৃদয় জয়ে;
পেরেছি শুধুই আমি তুলে ধরিতে হৃদয় মনে আসে প্রেম ক্ষয়ে।।