আমারে যে তুমি আনলে নিকটে প্রেমের ফুলে,
ঘ্রাণ শুঁকে আজ হৃদয় আমার উঠেছে দুলে।।
বুঝি সে ফাগুন এসেছে দুয়ারে,
শান দিয়ে যায় গন্ধের ভারে,
চিনতে পারিনি তোমারে অধুনা
মেতেছি কেবল প্রেম ছাড়া মনে পরেতে ভুলে।
সেই ভুল যেন ভেঙে দিলে আজ প্রেমের ফুলে।।
যাপিত কালের ফাগুন আমার এসেছে ভারে,
ছিলাম মগন আমি যেন আজ পরের দ্বারে।।
অথচ ফাগুন চিনিয়েছ তুমি,
তবু কেন আমি পরেতে চুমি,
পলাশের মত সোনালী আভায়
মাখলে যে তুমি সোনালী ভূষণ এসেছ কূলে।
দেখে যেন মনে ভুল টুটে যায় প্রেমের ফুলে।।
আকাশের দিকে চেয়ে দেখি আমি নীরদ সাদা,
মাখলো অধুনা তোমার চোখের মতন ধাঁদা।।
কিংশুকে যেন খেলিছে নীরদে,
আমার হৃদয় কেড়েছে যে বধে,
বাকবিতণ্ডা শেষ হলো আজ
তোমার রূপের কারুকাজ দেখে চোখের মূলে।
সকল অতীত মুছে দিয়ে যাই প্রেমের ফুলে।।
চাঁপা কি বকুল বনের ধারের পার্কে বসে,
ঘ্রাণ পেয়ে আমি মাতোয়ালা আজ হৃদয়ে পশে।।
তোমার শরীর ঘ্রাণ দিয়ে যায়,
চাঁপা কি বকুল আজ নিরুপায়,
দেই নি আমার সায় আজ বেগে
রেখেছি সকল অতীত স্মরণ আমি যে তুলে।
তখন দেখি যে তোমার হাসিটি প্রেমের ফুলে।।
নিকটে আগম হয়েছে অধুনা আমার সাথে,
তোমার কণ্ঠে শুনি আমি গান আমাতে মাতে।।
আমার লেখার রাগিণী শুনিয়ে,
আমার মনের ভালোবাসা পিয়ে,
ফাগুনের রূপ নিয়ে এসে তুমি
আমার পাণিতে মেদুর তোমার পাণি যে ছুঁলে।
ভালোবাসা আজ সিক্ত হয়েছে প্রেমের ফুলে।।
হাতে ছিলো দেখি তাজা যে গোলাপ দিয়েছ এসে,
মনের ভাবনা মিশেল হয়েছে উঠেছে ভেসে।।
জড়ালাম আমি তোমার দু'হাত,
দুপুরের শেষে বিকালের সাথ,
মেদুর রোদের সাথে হলো খেলা হৃদয় খুলে।
সাঁঝের আঁধারে খেলা শেষ হলো প্রেমের ফুলে।।