মন্থর গতিতে যেন চলছে আমার ঘোড়া করে আস্তাবল খোঁজ
প্রাণের নিঃস্পন্দ বিন্দু স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জাগে মন ফেলে দীর্ঘশ্বাস;
খাবার সলিল নেই বেঁচে আছি আমি সেই মরুর বুকেতে রোজ
খর্জূর দ্রুমের তলে কিছুটা আশ্রয় পেয়ে করি আমি হাঁসফাঁস।
কোথায় মানব চিহ্ন কোথায় জয়ের রেখা পাইনা অধুনা সায়
মরীচিকা দেখে দেখে বিভোল হয়েছে মন সমুখের পথে চলা;
হাতের কম্পাস কাঁটা বিনষ্ট হয়েছে আজ দেখি নতুন অধ্যায়
আকাশের দিকে চেয়ে সূর্যের উত্তাপ মাখি নিজের কথন বলা।।

আমার মতন করে আমার ঘোড়াটি আজ মেখেছে ক্লান্তির ছাপ
সলিলের তৃষ্ণা তাকে করেছে ভীষণ কাবু দ্রুত বেগে চলা নারি;
ঢুলিয়ে ঢুলিয়ে চলে প্রাণের ঘোড়াটি যেন পেলো পিপাসার চাপ
তাই আমি বোঝা সব ছেড়েছি পথের তরে করেছিল ভারে ভারী।
সহসা ঘোড়াটি আজ কাহিল হয়েছে খুবি পারছেনা আর যেতে
অথচ তখনো চোখে ফোটেনি মনুষ্য দেখা বেসাতির লাগি চলা;
জীবনের বাজি রেখে চাইনা আমি যে আর উঠিনি ভীষণ তেঁতে
বাঁচার আকুতি যেন ঘোড়ার মতন প্রাণে আসে তাই কথা বলা।।

সহসা ঘোড়ার প্রাণ ঝরে পড়ে মরুবুকে আমার ক্রন্দন আসে
চোখের পটেতে ভাসে বিশুষ্ক মরুর ঝড় সমাধি দিয়েছে বালি;
তখন ঝড়ের স্রোতে সমুখে দেখেছি আমি বসতির তীর ভাসে
ফিরছি মনুষ্য তীরে হারিয়ে প্রাণের ঘোড়া অশ্রুধার শুধু ঢালি।।