মানুষকে তুমি অভিভূত করো ওহে কবি নিজ দ্বারা,
তোমার বেলাতে অভিভূত হয়ে করেছ কি কাজ সারা।
তোমার লেখার ধারাটি যেমন অভিভূত করে লোকে,
তেমনি তোমার চেহারার নূরে নারীরা পোষে আলোকে।
কবিদের কথা পীযুষের বাণী দিয়ে গেছে মহাকাল,
তুমিও তাদের মতন কবি হে ভাসাও নিজের পাল।
তোমার স্তুতি গাইছে সকলে পড়ে কবিতার ধারা,
যেন মনে হয় লিখে যাবে তুমি অগণিত নভ তারা।
কত কবি এলো,কত কবি গেলো লিখেছে নিজের মন,
তুমি যে তাদের মত করে চলো তোমার এ আয়োজন।
প্রথম যখন পড়েছি তোমার কবিতার ধারা আমি,
ছিলো শুধু প্রেম আর ছিল শুধু প্রণয়ীর কথা নামি।
ধীরে ধীরে তুমি লিখলে স্তুতি নিজের প্রভুর নামে,
পুরালো সকল আমার মনের কথা যে মনস্কামে।
আজ পড়ে যাই দেশের জন্য তোমার দ্রোহীর বাণী,
দূর করে দেয় মনের সকল মিথ্যা বাণীর গ্লানি।
সমালোচনার বাণী দিয়ে তুমি সাজাও আপন কথা,
আত্ম কথার সমালোচনার মাঝে জাগে ব্যাকুলতা।
তোমার কবিতা সব কথা বলে তাই আমি অভিভূত,
তোমার মনন দ্রুত বেগে চলে পারেনা করে চ্যুত।
বাদ গেল নাযে কোন ধারা আর তোমার লিখার মাঝে,
পড়ি আমি শুধু তোমার কাব্য আমার মনে বিরাজে।
অভিভূত মন জানতে যে চায় তুমিও কি হও পরে,
মানুষ আমার মন বলে তাই জানতে সকল তরে।
বকুলের ঘ্রাণে অলি অভিভূত তাই ছুটে চলে বাগে,
বাঁশরির টানে নারী অভিভূত পুরুষের অনুরাগে।
আবার শুনেছি রাতের জন্য অভিভূত শিউলিরা,
রক্তের লাগি অভিভূত আজ দেহ শিরা উপশিরা।
ঘাসের জন্য অভিভূত আজ গরু কি ছাগল জানি,
কুয়াশার লাগি অভিভূত আজ শীত কাল আসে মানি।
জলের জন্য মাছরাঙ্গারা অভিভূত হয়ে থাকে,
কারণ সেখানে মাছ ডুবে ভাসে তাদের চলন আঁকে।
তাই আজ যেন আমার হৃদয়ে জেগেছে জানতে সাধ,
তুমি অভিভূত কিসের জন্য করিনি যে অপরাধ।
ভালোবাসি কবি আমি অভিভূত তোমার প্রতিভা দেখে,
তোমার কবিতা পড়ে এ হৃদয় যেন ভালোবাসা শেখে।
জানিনা তোমার প্রেমের কাহিনী কিসে তুমি মজে আছ,
যদি খুঁজে যাও তবে বলি আজ আমাকেই শুধু বাছ।