হাসিয়া উঠিছে জরা অম্বর আপন করা নির্নিমিখে আমি চাই
কতনা সামান্য প্রাণে চাই আমি আসমানে নাকাড়া বাজাই সুখে;
বিপুল সম্ভার দেখে হৃদয় উঠিছে মেখে ফিরে ফিরে সবি পাই
চামড়ার চক্ষে আজ দেখি সেই কারুকাজ দেখিতে রয়েছি ভুখে।
নিঃসীম সীমানা বুঝি হয়েছে আমার পুঁজি চাতক চক্ষের দেখা
তৃষ্ণার মাখানো রূপ দেখে আমি হই চুপ অপার অম্বর পানে;
কেবল দাক্ষিণ্য পেয়ে অম্বরের রূপে চেয়ে উদারতা হলো শেখা
সংকীর্ণ প্রাণের সুরে অম্বর বৈচিত্র্য পূরে বিস্তীর্ণ হয়েছি প্রাণে।।
তবু যেন খেদ জমে আমার হৃদয়ে ক্রমে পাইনি দর্শন তাঁর
উঁচু আশা জাগে মনে নিভৃতে হৃদের রণে জমেছে ফসিল টান;
জেনেছি দেখেনি কেউ ফসিল হৃদের ঢেউ করেছে হৃদয় ভার
তাই বুঝি সঙ্গীতের উচ্চতায় তান ঢের সৃজন করেছি গান।
আমার মনুষ্য মন করে চলে আয়োজন নিজের জড়তা নিয়ে
জীর্ণতার চাবিকাঠি জেগেছে চাওর খাঁটি তালা খুঁজি নিরজনে;
হৃদয়ের রণে আজ পড়েছে অশনি বাজ পূরাব আমি কি দিয়ে
তাই তাঁরে ডেকে চলা হেমন্তে অম্বর ঢলা পুষেছি আমার মনে।।
সবাই চলেছে একা তবু পিছুটান দেখা মানবিক প্রাণে আসে
নিরন্তর চাই যাহা দূরে সরে যায় তাহা নিজের সম্পদে পোকা;
সকল ব্যাকটেরিয়া; কিবা ভাইরাস দিয়া অসাধু অন্তর হাসে
তার সনে বনিবনা তুলেছে সাপের ফণা সাথে সিগারেট ফোঁকা।
বোধের এ জাগরণে পড়েছে হেমন্ত মনে হৃদয়ের আকুলতা
লোকালয়ে চলি ভবে মানুষ হইতে হবে তাঁরে জিজ্ঞাসি সকল;
কোথায় উত্তর তাঁর করেছে অন্তর ভার ফোটেনা আপন কথা
তাই বুঝি জীবনের অন্তিম সময়ে ঢের আমি পোহাই ধকল।।
মানুষ হইতে হবে হোক তা অন্তিম ভবে আমার চাওয়ার সাধে
অমানুষ দেখে দেখে আমার হৃদয় শেখে মনুষ্যত্বের সে বাণী;
কোথায় ছিলাম আমি যেন এতকাল নামি মিশে গেছি অবসাদে
আজিকের সঞ্চারণে চিনেছি মানুষ মনে তাই মনুষ্যত্ব টানি।
অমানুষ রুধিরের দানে দেখি করে ঢের নিজের বিজয় পেতে
তাদের করাল নেশা হয়েছিল নিজ পেশা ফিরেছি সেখান হতে;
তাই আজ মনুষ্যত্ব পেতে আমি খুবি মত্ত উঠেছে অন্তর তেঁতে
কৌলীন্য আমার প্রাণে অধুনা আর না টানে মানুষ হয়েছি পথে।।