নাক ভরাবে তোমার কেবা অমন নাকে নোলক নাই,
দ্রাক্ষার মত মিঠে সে মুখ চোখ মুদিলে দেখতে পাই।
চপলা এক হরিণী মন বুঝতে পারি তোমার মন,
গুপ্তধনে আঁকড়ে রাখা তোমার দেহের আবরণ।
খনির চেয়ে আরো গভীর তোমার অমা অমন চোখ,
কল্পনাতে আঁকি তোমার মোহন হাসি রয়না শোক।
কুন্তলে যে নিকষ কালো অন্ধকারে হারাই খেই,
মনের মাঝে তোমায় আমি স্বীয় আসন বিলিয়ে দেই।
তোমার হাঁটা; তোমার চলা জাগায় মনে ফেনিল ঢেউ,
কল্পে নারী দেখতে তুমি উর্বশী যে লাগাই ফেউ।
আঁখি আমার কেবল ঘুরে দেখতে থাকে তোমার রূপ,
শামিয়ানার দ্যুতি তোমার মুখের নেহে চাতার ধূপ।
কৃশাঙ্গ যে তোমার কায়া চঞ্চুতে যে হাসির দ্বার,
কল্পনাতে তোমার মতো মোহন রূপী পাইনা আর।
শুধু তোমার নাকেই দেখি নোলক ছাড়া রয় যে সব,
লালাভ মাখা কপোল ছবি দেখে মাতাই প্রণয় রব।
যৌবনে যে এতো মধুর হৃদয়ে তার কিসের দুখ,
অন্বেষণে দেখি তোমার আঁখি তারায় আমার মুখ।
তখন যেন বোধ জেগেছে বুঝতে পারি হারিয়ে দিন,
তোমার নাকে নোলক নাহি হিয়ায় মাখা আমার ঋণ।
বুঝতে পারি প্রণয় সুধা তোমার মনে মাখলো কার,
তোমার জানি দ্যুতির রেখা আমি তোমার অন্ধকার।