অনুভবে সেকেলের ভাবধারা ধরে রেখে চলে এক প্রাণ
হাজার বছরে চলা এই পথে এসে সে যে ফেলেছে কদম;
সাগরের মতো তার গতনিদ্র চলাচলে কাঁপে আসমান
নিজের গভীরে বুনে কবিতা অমৃতধারা দম নাহি কম।
বয়স হয়েছে ঢের পেয়েছে আজিকে টের অলস পায়াতে
চলছে অধুনা সে যে মন্দ্রিত তরঙ্গ বেজে উঠেছে বীণাতে;
প্রণয় কাণ্ডারি তার মেলেছে কবিতা দ্বার বেহালা ছায়াতে
এক লোভনীয় গান করে চলে সে যে দান সব নারী মাতে।।
তার বেহালার সুরে নারী মনে বাজে শুধু প্রেম উপত্যকা
ভেসে উঠে চক্ষু পটে প্রণয়ের এপিটাফ মন্দ্রিত রাগিণী;
অথচ সে গান গায় পুরানো দিনের গান দেখে সব লখা
তবুও রমণী এক তার গান শুনে আজো উঠিয়া জাগেনি।
সেই ছিলো তার প্রেম যার লাগি অনশন বৈরাগী জীবন
সকল নারীর মনে দোলা তুলে গেছে শুধু হীন প্রতিশোধে;
করেছে আজকে সে যে জাগাবে রমণী প্রাণ করে চলে পণ
জাগবে রমণী মনে একগুচ্ছ তাজা প্রেম জাগবে যে বোধে।।
হ্যামিলনের বাঁশরি মতো তার বেহালার সুর বেজে উঠে
নারীর হৃদয়ে দোলা দিলো যেন তার বীণা একটি শহরে;
সেখানে প্রেয়সী নারী বসবাস করে চলে নিদ্রা নাহি টুটে
বাকি সব রমণীরা তার বীণা সুর শুনে এসেছে বহরে।
জীবনের অপ্রাপ্তির সুরে বাজে নারী মন সকলে যে জানে
পুরুষের চোখ দেখে নারীরা প্রণয় চিনে নিজেকে চিনেনা;
তাই আজ সব নারী এসেছে তাহার কাছে আধুনিক বানে
তাদের কাউকে সে যে পরানের দ্বার দ্বারা হৃদয়ে জিনেনা।।
অবশেষে সেই নারী কুঞ্চিত হৃদয় মেলে প্রসারিত করে
ভেঙে গেছে তার ঘুম বিশাল রমণী দলে ভিড়েছে অধুনা;
তারে দেখে বাদকের সুর বুঝি ভুলে যায় এই অবসরে
নারীর চোখের তারা দেখে সে বুঝতে পারে চক্ষু চিনা ঝুনা।
প্রেমের কথাটি তাই বলে ফেলে সে সুযোগে হলো লেনদেন
ভাঙা বীণা তারে যেন আবার বাজিছে সুর প্রেমময় তানে;
সকল নারীর মন ভেঙে হলো খানখান মন যে সফেন
ভালোবাসা অবশেষে করেছে সজীব তারে এসে নিজ বানে।।