সুর এসেছে আমার ঘরে  কোথা রে তাঁর আলো,
ঘুম ভেঙেছে আমার চোখে   স্বপ্ন সব মিলালো।।
চোখ মেলেছি চোখের পাতা    দেখছি মধ্য রাতের চাতা,
তিথির চাঁদের আলোয় পৃথ্বী মুছে দিলো কালো।।

শুনছি আমি দূর হতে এক       কণ্ঠ বেজে উঠে,
রাতের গহন শিয়াল কুকুর ডাকছে তা যে ফুটে।
তার মাঝে সেই বাঁশির ধ্বনি      হলো আমার শ্রবণ মণি,
দুন্দুভিনাদ শুনে আমার  লাগছে ভীষণ ভালো।।

ঘর হতে তাই বাহির আসি    যেতে সুরের কাছে,
ভয় জাগে মন শেয়াল যদি  কামড়ে বসে পাছে।
সাহস সঁচয় করেই চলি            আশা আমার রয় উছলি,
যতই নিকট যাইনা কেন     সুর একই দুলালো।।

সহসা এক বাজের ঘাতে     ফিরে আমার বেদন,
শুনছি তবু সেই বাঁশি সুর   ভরছে আমার শ্রবণ।
আকাশ গায়ে মেঘের ছায়ে     দেখছি আমি পায়ে পায়ে,
সকল মেঘে ঢাকলো তিথি  চাঁদটি যে লুকালো।।

ফিরে আসি ত্বরিত বেগে    আমার নিজের ঘরে,
বাদল নামে পৃথ্বীর বুকে   কাঁপছি আজ অন্তরে।
তবু শুনি সেই সে বাঁশি           কেমন করে উঠছে ভাসি,
বুঝতে পারি বাঁশিওয়ালাই    সকল ঘুম টুটালো।।