'পাঞ্জেরী পাঞ্জেরী' বলে ডেকে চলা মানুষেরা
আজ বড় নাজেহাল; কবির কলমে ফোটে তা সহজে
বাস্তবে অধুনা তাই বন্দর ঘেঁষে যে আমি ছুটেছি নিজের চলা
সেখানে রাতের বাসে পরমাত্মা যেন ফোটে
বাতাবি লেবুর ঘ্রাণ আসে। নন্দিত স্বর্গের কথা ফুটে সেথা
সাগরের বুক চিরে সকল বিপদ যেন আতঙ্কিত হয়ে বাজে
সহসা আকাশে দেখি চিরচেনা সেই চাঁদ প্রদীপের মতো দেয় আলো
স্বর্গীয় মোহন এঁকে চলা তিথি চাঁদ।
আশঙ্কা সকল বুঝি ফিরে আসে আজ বেগে দেখি
তীরের বুকেতে সব প্রেতাত্মা বিরাজে আজ তাই
তার সাথে অশরীরী গান গেয়ে চলে যে নির্ভাবনায়
উদ্বেল স্রোতেরা যেন শুনানি শোনালো সেই গানে।
আসবে তুফান আজ চাইছে আকাশ ভ্রুকুটিতে
অশরীরী মেঘেরা যে চাইছে আঘাত করে ঝরাতে সকল নিজে
অমন সাগর বুকে আসবে কি সে পাঞ্জেরী নিজের তাগিদ মেখে আর
প্রাণের মায়াতে কাবু দেখি আমি পুরো দরবার।
চঞ্চল বাতাস যেন জানান দিয়েছে আজ ঘূর্ণিঝড় আসে
লণ্ডভণ্ড করে চলে সাগরের বুকে আজ স্বয়ং বিধাতা;
চোখের সলিল যেন মিশে আজ নিজ ক্ষণে সাগরের জলে
এতো বাধা পেয়ে কিবা পাঞ্জেরীর কাঁপে বুক ত্রাসে।
মায়া ধরা এ বঙ্গোপসাগরের বুকে জাগে প্রকৃতির খেলা
তখন নিশীথ নামে সাগরের বুকে নামে ফটিক আকাশ;
চারিদিকে শান্ত সব শুধু বাতাসের রব করে চলে নিয়ত এ খেলা
ভঙ্গুর জাহাজ দেখি আসছে তীরের কাছে লয়ে আলো নিজে
জ্যোৎস্নার মাখা আলো মেখেছে নিজের দেহে
আকুলতা লয়ে আসে আমার নিকটে।
বিধ্বস্ত শরীর লয়ে আমার নিকটে এসে জানালো সকল
পাঞ্জেরী ভেবেছি তারে নিজ ভ্রান্তির খসড়া দিলাম যে মেখে দরবারে
মানুষ ভেবেছি তারে আসলে সে জলদস্যু এসেছে কাড়তে ধন
রজনীর শেষে আমি বুঝেছি সকল কিছু সূর্যের রাগিণী শুনে।
চলে গেছে রেখে গেছে অনুসূর্যের রাগিণী তার সেই বাঁশি
নিয়ে গেছে আলয়ের মাখা সব বাতি;
বিদীর্ণ করেনি প্রাণ সহায় ছিলাম আমি তার জন্য
অমন রজনী গেলো পাঞ্জেরী ভেবেছি তারে বৃথা।
কিছুদিন পরে দেখি 'পাঞ্জেরী' এসেছে তীরে বীর বেশে
খেয়াল করেছি তারে আবার আমার চোখে আজ;
এসেছে এই পাঞ্জেরী সেই চোর বাতি করে চুরি
কাছে এসে দিয়ে গেলো আমাকে আজকে সেই বাতি।
জিজ্ঞাসী তাহারে আমি কিসের বদলে এই বাতি
বলেছে আমায় ডেকে "অনুসূর্য দিয়ে যাই ও আমার সাথী"।