মনের সাথে দ্বন্দ্ব খেলে
ছুটেছিল একটা জেলে;
ধরবে আজি মাছ
জাল আছে তার কাছ
সেই ভাবনায় ছোটে সে যে আশে;
জানে সে যে বিধাতা তার আছে নিজের পাশে।
নদীর তীরে ছুটে চলে
জাল ফেলিবে নদীর জলে;
ধরবে অনেক মীন
অভাব তাহার কেটে যাবে আসবে যে সুদিন।
ফেললো নিজের জাল
মাছ উঠেনা দেখে মনে আসলো ক্রোধের মাল;
বিধাতাকে ডাকে
যদিও বা মাছ উঠে যায় তারি জালের ফাঁকে।
মাছের সাথে দ্বন্দ্ব তাহার নাই
খুঁজছে কেবল উপায় সে যে যদি বা পায় ঠাঁই;
চলছে তাহার চলা
সারা দিবস কেটে গেলো নিজের কথা বলা।
অবশেষে দুপুর গড়ায় এলো বিকেল বেলা
চলছে তাহার জালের সনে কেবল নিছক খেলা;
লেগেছে তার ক্ষুধা
কোথায় পাবে খাবার আজকে ভাবছে কোথায় সুধা।
ফিরে আবার মন
জায়গা সে যে বদল করে নব আয়োজন;
ডাকতে থাকে তাঁরে
অন্তরে তার কথা আসে নিগূঢ় করুণ ভারে।
সন্ধ্যা এলো ক্ষুধা পেটে
গেলো সময় আজকে কেটে
কোথায় পাবে খাদ্য
বাজে করুণ বাদ্য
তাই ফিরেনা মন
তবু সে যে করে চলে আবার আয়োজন।
অবশেষে টান পরে তার জালের রশির দিকে
বুঝতে পারে বড় কিছু হৃদয় যে নয় ফিকে;
টানতে থাকে রশি
জালের তরে টান বেড়েছে টানতে থাকে কষি।
অনেক জোরে টান দিলো সে আজ
দেখে সেথায় বিশাল কিছু করিছে বিরাজ;
কেউ ছিলনা তাহার পাশে
তাই দেখেনি কিবা আসে
কাছে গিয়ে দেখে
অন্তরে তার ঝড় উঠেছে অমন উদ্ধার চেখে।
কাছে গিয়ে দেখলো সে যে
আলোক ছোটে সোনার তেজে;
এ যে গুপ্তধন
লুকায় সে যে খুবি ত্বরা করে নিজ আপন।
ডাকে বিধাতারে
মনের কথা বোঝে যেজন নিকষ অন্ধকারে;
গুটিয়ে ফেলে সকল সোনা
আঁধার মাঝে যায়না গোনা
মন যে আজি চমচমে হায়
ভুলেনি সে বিধাতার সায়;
বোঝে মনের ধ্বনি
মনের জোরে ছিলো তীরে তাই পেয়েছে মণি।
হাল না ছাড়ায় ফিরলো ললাট
ফিরলো তাহার চলনে হাট;
ভোলেনি সে তাঁরে
রাখে সে যে মনের ঘরে নিজের বিধাতারে।