আপোসের বেড়াজালে দাঁড়িয়ে রয়েছ তুমি একা
বংশের কথা ভুলে তুলে নিলে প্রণয়ের সেই বাঁশিখানি;
বস্তুত হৃদয় বলে নারীদের মন বোঝে বাঁশি
সে বাঁশি তোমার ঠোঁটে করিছে মাতাল আজ মন।
হাসিছে পাগল প্রাণ তোমার মনের সাথে লেগে আছে বলে
উঠানের কোণ ঘেঁষে একটা অরুন্ধতীর খেলা;
আকাশের দিকে চেয়ে শুনছি তোমার বাঁশি সুর।

সহসা আগমে দেখি আকাশের উঠানের বুকে
চাঁদের ঝিলিক দেয় জোরে;
তোমার কথার ধাঁরে আর বাঁশি সুর নাড়ে আমার হৃদয়
জোনাকিরা দেয় সায় আমি আছি মজে;
তখন শুনেছি আমি ত্রস্ত পায়ে হেঁটে আসে ঝিঁঝিঁ দলে।
তোমার বাঁশির তানে শুরু করে তারা গীতি মেলি
হয়তো পূর্ণিমা আজ নির্মোকে লাগছে বেগে
এমন রাতের আলো প্রাণের খেলার কথা বলে চলে জেগে।

তখন বোধের ভাষা নিজ মনে জেগে উঠে কেন আছি সেথা
তোমার আমার মাঝে নেই প্রণয় আবার;
নারীর হৃদয় বোঝা সহজ নহে যে জানি আমি এক নারী
তোমার হৃদয় আজ বুঝেছে হৃদয় যেন ফিরে।
সম্পর্কের তোয়াক্কা যে আর নেই আমাদের মাঝে
তুমি পুরুষের রূপে এসে
বাজালে বাঁশরি আজ কিসের আহ্বানে,
পারিনা উঠতে আমি এ আসর ত্যাগে।

বাঁশরির সুর যেন করে অঙ্গীকার আজ ছোঁবেনা এ দেহ
তাই যেন শুনি আমি তোমার তফাৎ হতে বসে;
মানবিক বেদনের করুকাজে মাখো তুমি সুর
প্রবল বাসনা জাগে যাই নিকটের ঘেরে আজ।
অথচ পুরুষ তুমি বুঝেছি বাসনা যদি জাগে
থামাতে যে পারবো না নিজের বাসনা;
তাই বাঁশি সুর শুনে ছুটে যাই আজ নিজ গৃহে।

ঘুমন্ত চাঁদের সনে জেগে উঠে আমাদের মন
বানভাসি মানুষের মতো জাগে আমাদের ইচ্ছা;
আকুল নয়ন মেলে আসলে উঠানে ফের তুমি
পারিনা ফেরাতে আমি তোমার দু'চোখ হতে আমার দু'চোখ।
নির্নিমিখে চেয়ে আছো তাই মরি লাজে
আদরের ভাষা আজ দু'চোখে ফোটে
তবু যেন অঙ্গীকার কিবা বলি মুচলেকা আজ আছে দোঁহে
অভিসারে যাবো কিনা ভাবি আমি মোহে।

শুধু সেই বাঁশরির সুর শুনে চিনেছি তোমারে;
আকুল চোখের ভাষা চেনা হলো শেষ;
বিবাহ ব্যতীত নারী দেয়না কিছুই
তাই বলি ফিরে এসো অপেক্ষাতে রবো আমি ধাঁরে।