দিলে দেখা তুমি হে যার চোখে
হলো সে যে চোখ হারিয়ে অন্ধ,
তোমার দ্যুতি নেই যে ভবলোকে
আসে শুধু দ্যুতির সিক্ত গন্ধ।।
তালা ঝোলে যার হৃদয়ে জানি,
বোঝেনা সে তোমার অমর বাণী,
বয়ে বেড়ায় জীবন মাঝে গ্লানি
বাদুড়ের ন্যায় তাহার চক্ষু বন্ধ।।
ঘুমিয়ে থাকে ফুলের সুবাস জানি
সকল ফুলের সিক্ত কলির মাঝে,
ফুল হলে সে ছড়ায় ঘ্রাণের বাণী
ভ্রমর তখন নিরত হয় কাজে।
তেমনি তোমায় দেখতে হলে লাগে,
যার মনেতে তোমার প্রীতি জাগে,
যার ভাবনায় তোমায় শুধুই মাগে
সেই পাবে যে দেখারি আনন্দ।।
পৃথ্বীর বুকে থেকে তোমায় দেখা
হবেনা আর জেনেছি যে আমি,
মরণ পরে তোমায় হবে শেখা
তাই যে আমি সমাধিতে নামি।
জীবন মাঝে পুষেছি ভয় মনে,
মরণ আমার আসবে জানি ঘনে,
কর্ম দ্বারা দেখা চোখের কোণে
যদি বা পাই পৃথ্বীর বুকে ছন্দ।।
মরণ পরে কারো কি চোখ থাকে
অন্ধ চোখে দেখে তোমায় নিতি,
কর্মের জোরে তারা তোমায় আঁকে
সেথায় করে শুধুই তোমার গীতি।
আর যদি না খারাপ কাজে মেতে,
থাকে পৃথ্বীর বুকে তারা তেঁতে,
তবে জানি নারি তোমায় পেতে
তোমার দেখা দাওনা হলে মন্দ।।