স্তিমিত আলোর কণা তুলেছে নিজের ফণা ছুটেছে শূন্যের তরে
ছায়াপথ নীহারিকা রয়েছে আকাশে লিখা তার বুকে ঋক্ষে খেলে;
পৃথিবীর গৃহ কোণে এক কবি কাব্য বোনে নিজের খাতাটি ভরে
যাপিত বেদনা সবি এঁকে চলে নভঃ ছবি দিয়েছে আকাশে মেলে।

আকাশ জানেনা সে যে কিসের বিপুল তেজে কৃষ্ণগহ্বরের খেলা--
মাতন তুলেছে নিজে বিশাল আকাশ ভিজে অথচ আসেনা শব্দ;
কবির কলমে দেখি লিখে চলে নহে মেকি আকাশের তারা মেলা
নভোচারী পড়ে দেখে তাদের হৃদয় শেখে হলো তারা ঠিকে জব্দ।।

কবির কথায় আজ কোথায় মেখেছে তাজ রূপকার কবি খোঁজে
চাঁড়াল লোকেরা আর বোঝেনা কবির ধাঁর ভাবে সবি লিখা মেকি;
অথচ সে নভোচারী ঝরালো চোখের বারি কবিতার কথা বোঝে
কৃষ্ণগহ্বরের কাঁথা কবিতাতে ছিলো গাঁথা মিলে গেছে সব সেকি।

তবে কি কবির কথা মিলিতে বিধাতা তথা দিয়েছে আকাশে সাজ
ভাবছে সে নভোচারী ভাবনা এসেছে সারি কিভাবে মিলেছে কথা;
নিছক কবি তো জানা করেনি আকাশে হানা তবে কিসে কারুকাজ
ভাবছে সে নভোচারী কবির সে কাব্যধারী ভাবে কবিকে দেবতা।।

অথচ লৌকিক গাঁথা ভাবেনি কবি যে যা-তা উপমার রঙে লেখা
মিলেছে কিরূপ হেনে কবি যে ভাবেনি জেনে জীবনের মূর্ত ভাব;
হয়েছে কবির আজ জীবনের কারুকাজ আকাশের পানে শেখা
পেলোনা তেমন কিছু ছিলো সে কবিতা পিছু করে জমা বেহিসাব।

ভাবছে বিধাতা বুঝি কবিকে জীবন পুঁজি দিয়েছে কবিতা বাণী;
তাই কবি হয়ে শুন্য সঞ্চয় করেছে পুণ্য কবিতা লৌকিক জানি।।