ফুলেরা সকল আজ জোট বাঁধে নিজের ঘ্রাণ বাঁচাতে
অলি মৌমাছি কিবা প্রজাপতি এসেছে তব নাচাতে।
অথচ তখন বনের ভেতর চলছিল মহা দ্রোহ,
বনের রাজার আগ্রাসনে যে কেটেছে সবার মোহ।
সকলে আজকে মেতেছে কাননে মনেতে আগুন জ্বলে,
স্বৈরাচারীর পতনের লাগি সকলে উঠেছে পলে।
তবু যেন ভয় কাজ করে আজ তাদের নেইতো নেতা,
তাই দলবল সামনে এগুবে রাজা ছিলো বড় চেতা।
খুঁজতে থাকে যে তারা সেই নেতা যে হবে সমুখে খাঁড়া,
যার মুখো বাণী শুনে সব প্রাণী সমুখে দিয়ে যে তাড়া।
তখন অলিরা কলরোল শুনে ছুটে চলে ফুল ছেড়ে,
হাতির চোখেতে পড়লো যে ধরা অলিরা নজর কেড়ে।
সকলের কাছে হাতি বলে আজ অলিরা নেতা যে হবে,
শুনে সব পশু হেসে উঠে স্বরে কোথায় কিসের ভবে।
হাতি তবু বলে অলিদের থেকে কার আছে আর বল,
সিংহ থাবার নজর এড়িয়ে কেবা যাবে তার তল।
বুঝেছে পশুরা হাতির কথাটি বিশাল হাতির বাণী,
তাই নিজে আজ চলছে যে বনে শুধু দ্রোহ কানাকানি।
অলিরা চমকে বলে উঠে তাই আমরা হবোনা নেতা,
আমরা কেবল ফুল পিছে লাগি হবো কি স্বাধীনচেতা!
শুনে হাতি বলে সকল আয়োজন বলে তব আছে হুল,
সিংহের গায়ে বিঁধাতে হবে যে না হয়ে চক্ষুশূল।
বুঝেছে আজকে অলি কৌশল তাই হেসে বলে হবে,
যদি মরে যেতে হয় তবু আজ তবু মরে যাবে ভবে।
পেয়েছে পশুরা আজ তব নেতা নিজেদের প্রাণে হাসি,
পাখিরা সকলে রাগিণী তুলেছে পশুরা বাজায় বাঁশি।
যুদ্ধের সেই দুন্দুভি বাজে আপানর মুখে আজি,
ছুটছে সকলে রাজার আসনে ধরেছে পরান বাজি।
তাদের দেখে যে রাজা হেসে উঠে পাঁঠায় নিজের দল,
বোঝেনি রাজা যে আজ তার কিছু কোথায় রয়েছে ছল।
সকলে খেয়েছে অলির কামড় তারপর হাতি লাথি,
তাদের জীবন হয়েছে আজকে বড় নাজেহাল সাথী।
এমন করে যে আহত হয়েছে দুই দলে পশু সব,
তবু দেখে সবে রাজার বাহিনী আজ মুছে কলরব।
মরেছে অনেক রাজার বাহিনী আজকে সমর পানে,
এবার হবে যে আসল যুদ্ধ রাজা আসে নিজে বানে।
অলিরা যে ছুটে ত্বরা বেগে আজ কামড় বসালো দেহে,
রাজা নাজেহাল কামড় খেয়ে যে পেয়েছে বেদনা নেহে।
এরপর হাতি দিয়েছে যে লাথি রাজার বুকের 'পরে,
অমনি সজারু কাঁটা বিঁধে দেয় ক্ষততে শরীর ভরে।
লহু মেখে আজ রাজা মরে হায় বনেতে নেমেছে সুখ,
অলিরা তখন বলে উঠে আজ তাদের লেগেছে ভুখ।
হাতি যে তখন জানায় পুলক অলিদের মানে নেতা,
অলিরা আজকে ছিনিয়েছে জয় হলো যে স্বাধীনচেতা।