তোমারে যাহারা জানে নিত্য - অবিরাম পিয়ে চলে সুধা
পঙ্কিল পথের ডাক ত্যাগে--
চলেছে তাহারা জানি পথে
আন্দোলিত রথে--
তাদের জীবন শুধু এক রয়ে যায় - অনিন্দ্য সে অবিরাম ক্ষুধা।
সজীব প্রাণের দিকে ঝুঁকে তারা চলে
কোলাহল ভেদে সেই দলে--
তাদের মাখানো কোলাহলে
বিষাদ হয়েছে আজ চূর্ণ - অবিরাম তাদের সরণি চলা;
তাদের ভীড়েতে যেন আজ - মিশে গেছে সুবিজন ফিরে।
তাদের ধ্যানের কথা শুনি কিংবা তপস্যা মেখে চলে মনে
নিরজনে কেটে যায় বেলা--
অবশ্রান্ত হয়ে যায় পথে
আবার ছুটেছে তারা রথে
বলতে সে'সব কথা সুরে - অর্জিত বেদন দ্বারা গ্রাহ করে;
তাদের কথাতে পাপী লোকে - ফিরিয়াছে দেখি সুবিজনে।
আমাকে তোমার বাণী যদি দিতে - অপরিসীম সে কৃপা
তাহলে হয়তো আজ আমি চলনের সেই ঝাঁক দেখে ফিরে-
আসতাম তোমার পথের তীরে,
অবসাদ কেটে সব কথা
জাগাতো যে ব্যাকুলতা-
ফিরিয়া নাচন হতো জানি - জাগিত মনের তরে ত্রপা।
আজ বুঝি ফিরে নাই ঋক্ষে - মেঘাচ্ছন্ন আকাশের তীরে
দেখিনা আমার চোখে ঘিরে;
অথচ ব্যসন মাখা প্রাণে
ছুটিয়াছি আমি শুধু বানে
আজিকের মাখা সেই পথে
ফিরিয়াছি আমি যেন তবু - হয়েছে সে বহুকাল লোকালয় ভিড়ে
তোমায় দেখার বাসনাতে আমার কেটেছে কিছু বেলা
ফিরিয়াছি আজি তবু আমি
নত মুখে করেছি জ্ঞাপন--
চলেছে যাপন
করিয়াছি বাণী লয়ে আজ আমি - আমাদের দোঁহে মিশে খেলা।
অথচ বলেছি আমি দোঁহে - কোথায় তোমার কৃপা সুর
অবজ্ঞার যাপনের কালে - মেখেছি কেবলি ধুলো পথ
কোথায় তাদের সাথে যাবো
কোথায় তোমার গান গাবো
অবুঝের কালে--
ছুটেছি কেবলি আমি যেন - নাই বুঝে আজ বহুদূর।
অবসানে হলো তাই আজ - শুধু বলা
আমারি নিছক চলা--
তখনি দেখেছি আমি দলে - ভিড়িয়াছে তাহাদের পাল;
ফিরেছে আমার বিষাদিত প্রাণে যেন - তোমার আমার ভিন্ন ঢলা।