নিশীথে গভীরে আমি রাজপথে ছুটে নামি লুব্ধকের সনে
তাদের করুণ আর্তি করেছে আমারে মূর্তি হিম শীতলতা;
কেন যে ডাকিছে তারা কি দেখে বা দিশেহারা কথা আসে মনে
যেন উজানের মাঝে ভাটা নামে নিজ কাজে নেই ব্যাকুলতা।
নিজ সিগারেটে আজ দেখি ধোঁয়া কারুকাজ দেখি আসমানে;
বেদনের তরে ঘেঁষে শিয়ালের ডাক এসে কাঁপিয়েছে বানে।।

আমার চোখের 'পরে অন্ধকার এসে ভরে আজ
কুয়াশার শীতলতা আমার শরীরে নামে ব্যাকুল রাগিণী
টপটপ করে যেন পড়ছে কুয়াশা দেখি তাহার বিরাজ
তখন হৃদয় বলে অধুনা জাগিনি।
চলার পথের দিকে অশরীরী করে ফিকে গান গায় তানে,
আমার সকল চাওয়া হয়েছে যে আজ হাওয়া কুয়াশার দানে।।

হাতড়ে চলেছি পথে জনশূন্য রাজপথে কামুক বাসনা
দূরে কোন গণিকার কথা শোনা হলো ভার আজি;
ফিরাই দু'চোখ আমি মুছে দিতে নিজ মনে মদির কামনা
আবার দু'চোখ রেখে দেখি গণিকাকে চেখে ধরে প্রাণ বাজি।
অথচ গণিকা নাই জনশূন্যে গান গাই আমায় আহ্বানে;
আমার ইতির চাওয়া গোপনে রাখিনি গাওয়া রেখেছি অম্লানে।।

চলেছি সহস্র কাল অমন আঁধার পথে আজ নিজ ভালে
যেন কোন ঘুঘু ডাকে হুতোম প্যাঁচার মা'কে আজ গূঢ় স্বরে;
নিশীথে গভীরে আমি এমন পথেতে নামি জনশূন্য মালে
আবার সে সিগারেট হয়েছে অধুনা সাথি চঞ্চুতে তা ভরে।
তখন দেখেছি আমি এক জরাজীর্ণ প্রাণ শীতে কাঁপে শানে;
প্রবোধের বেলা আসে নিজের চাঁদর দিয়ে জড়িয়েছি প্রাণে।।

আবার সমুখ ছুটি আবার চলার পথে আরো কি যে দেখা
জীবনের গান আজ বুঝেছি পথেতে নেমে আমি;
হয়েছে জীবন আজ শেখা
কুয়াশার চাদরের মাঝে আমি চলি আজ মেনে প্রাণ দামী।
মাঝে মাঝে ছুটে চলা দু'একটা গাড়ি দিলো ক্ষীণ আলো স্নানে;
তার মাঝে দেখি আমি চলাচল রাজপথে শুন্য শুধু হানে।।