গন্তব্যের আবির্ভাবে ছোটে একজন পান্থ দুর্নিবার সরণিতে
মাখলো বিষাদ সুধা প্রতিবন্ধকতা মেখে দিয়েছেন জগদীশ;
বুঝতে পারেনি সে যে কোথায় তাহার ক্ষুধা চায় শুধু ভ্রুকুটিতে
আকাশে বাতাসে শোনে নগরীর ধুলো মেখে তার নিজ ফিসফিস।
শহরের অলিগলি চিনেছে আজকে তারে মানুষের পরিচয়ে
বহুদূর সীমানায় ছুটে চলা পথিকের ক্লান্তি এসেছে দুয়ারে;
আকাশের মানচিত্র কুটেছে আজকে সে যে পড়িছে আকাশ ক্ষয়ে
নাগরিক জানি সে যে এই বাংলার বুকে ভার বয়ে চলে ধাঁরে।।
নিজের শহরে সে যে নিজে এক পরাধীন নাগরিক বেশে ছোটা
উঁচু নিচু দালানের ছায়া মেখে নিজ গায়ে চলিছে অজানা পথে;
নেই আর শহরের গাছপালা আর সেই রয়েছে কিছুটা ফোঁটা
সেই ছায়া মেখে চলে দালানের সাথে সে যে তার সেই ভবিষ্যতে।
অন্ধকার সীমারেখা দূষণের ভারে আজ মানবের মন কাঁদে;
অচল প্রীতির দোষে অর্থবহ হলোনা সে তাহার মাখানো কথা;
ডুবেছে আজকে সে যে শহরের কালকূটে তার নিজ অবসাদে
জাগেনা আজকে তাই শহরের বুকে থেকে তাহার সে ব্যাকুলতা।।
নাগরিক আজ ছোটে গ্রামের নিবিড় পথে গ্রামের বাসিন্দা হতে
জীবনের খেরখাতা ছিলো ভরা দূষণের তাই ছোটে গ্রাম পথে।।