অধুনা একটি শিশু বসেছে বোনের পাশে নাগরদোলায় চড়ে
ঘুরলো নাগরদোলা শিশুর ক্রন্দন শুনি বাতাসে ভেসেছে বেগে;
জানি সে ক্রন্দন মানে উঠেছে শিশুটি বুঝি জগতের সনে লড়ে
পারলে ছুটতো বেগে নাগরদোলার হতে ছুটতো ত্বরিত ত্যাগে।
শিশুটি বুঝেছে সবি নাগরদোলার সুখ জীবনের প্রয়োজনে
আজ তাই সেই শিশু চাইতে পালাতে নিজে মরণের ভয়ে দেখি;
অথচ নিজের সুখে চড়েছিল সে যে হেসে দোলায় আপনমনে
ঘূর্ণন বেগের ফলে শিশু হলো নাজেহাল লাগছে নয় যে মেকি।।

অবশেষে দোলা থামে নাগরদোলার থামা এবার আমার পালা
চড়েছি আনন্দ সাথে এমন দোলায় আজ পেতে নিষিদ্ধ পুলক;
তাই বুঝি চক্ষে দেখি দিবসের বুকে থেকে রাতের তারার আলা
বুঝেছি শিশুর কান্না কেন বা মাখলো সে যে নহে তাই অমূলক।
তখন আমার বোধে এসেছে মৃত্যুর চিন্তা খেলে গেছে নিজ স্বরে
বারেবারে মনে আসে এই বুঝি মৃত্যু উঁকি দিচ্ছে পরানের তটে;
অবশেষে থামে দোলা ফিরেছি নিজের ভূমে আপনার মাটি ধরে
তখন বুঝেছি আমি জীবনের সব সুখ কত কি যে প্রাণে ঘটে।।

জীবনের হালচাল ভেবে আমি বুঝে গেছি একটা নাগর দোলা
নাগরদোলার কোলে করেছি যে বসবাস বুঝতে পেরেছি আজ;
পৃথ্বীর নাগরদোলা আমায় ভাবিয়ে তোলে নিরানন্দ আত্মভোলা
তাই আজ জীবনের ক্ষণিক প্রদাহ শুধু করে বিষাদে বিরাজ।
এখানে আনন্দ আছে সাথে আছে দুখ দ্বার পৃথ্বীর বুকের তীরে
বিরাজিত বেদনার সাথে আছে রোমাঞ্চের মোহময় মৃত্যু ফাঁদ;
নাগরদোলার মত ক্ষণিকের লাগি যেন মৃত্যুর রোমাঞ্চ ফিরে
তাই আজ লাগে ঘোর মৃত্যুর পরের হালে নামে মনে অবসাদ।।