মৌজা তোমার ভরে গিয়ে
পরগনা তে বয়ে নিয়ে
দিলে কৃপার ধারা
দেখছি আমি চোখের 'পরে অসীম আকাশ তারা।
মৌজা যদি হয় পৃথিবী
পরগনা এই বিশ্ব ছবি,
তোমার হাতে গড়া
দেখছি আমি চোখের 'পরে হয়না সকল চড়া।
চলছিলাম এ জগত বুকে
মৌজা পেরোই আমি সুখে;
দেখতে আজি পরগনাটা আমার জাগে সাধ,
বিশ্ব আমার চোখে কাঁপে দিয়ে অপবাদ।
চোখের তারায় আকাশ দেখি
দেখছি সকল নয় যে মেকি
আমার চোখের ইচ্ছা
জাগে কেবল কিচ্ছা
তোমার বাণী কথা মেনে
চলছি আমি সকল জেনে
আছে মনে ভালোবাসা মৌজা চলার পথে
চালাই আমি সারথি হায় রথে;
দিবস এলে দেখি আমি কত ফুলের বাহার
রাতের তরে জোনাক জ্বলে ঝিঁঝিঁ ডাকে যাঁহার।
পরগনাতে তারা জ্বলে
রাতে এলে দেখছি পলে
ইতিহাসের সাক্ষী তারা সভ্যতা যে আঁকে
আমার মনের বাঁকে
সাক্ষী রাখি সকল তারা আমি;
তখন দেখি জ্বলছে সাক্ষী যামী
সাক্ষী চাঁদের মুখের কথা ফোটে
আমার পথের ধূলিতে যে লোটে।
থামেনা তাই আমার চলা
চলছে নিজের কথা বলা;
কেবল তোমার তরে
তুমি আমার ভাবনা শুধু আমার অবসরে
কোথায় তোমায় পাই
মৌজা আমি ছুঁতে পারি পরগনা না তাই।
নেমে এলে মৌজা জানি
পুড়ে যাবে তোমার বাণী
তোমার নূরের জ্যোতি দ্বারা
হবে সকল প্রাণ যে দিশাহারা
তাই বুঝি নাই নামো
তাই বুঝি আজ পূরায় না আর আমার মনস্কামো।
বাতাস দিলে মাটি দিলে
আগুন আছে পোহাই তিলে
তুমি সবের দাতা
জানি তোমার হুকুম ছাড়া কাঁপেনা গাছ পাতা।
তাই বলি হে দাও হে দৃষ্টি এবার মৌজা বুকে
আমি বাঁচি ধুঁকে
তোমায় চাওয়ার বাসনাতে আমার পথ চলা;
তারার মতন বলা
নিতান্ত সেই মনের কথা উচ্চারি আজ সুখে
তুমি দিবে সায় মেখে হে ভাবি আমি ভুখে।