আরাধ্য বাঁশরি বাজে এই পৃথিবীর বুকে ফেলে করে হইচই
মানুষেরা সবে জানি শোনেনা কানেতে বাণী নিরর্থক আসে বাণী;
যারা শুনে গেছে তাই অঢেল আসেনি ভবে সে মানুষ আমি নই
তাই আজ চুপ করে বসেছি ধ্যানের স্বরে তাঁহারে পাইতে জানি।
আমার ধ্যানের ভাষা আসেনি তেমন খাসা তাই আজো খুঁজে চলি;
কতকাল গেলো ধ্যানে স্বাধীনতা চেয়ে জ্ঞানে উঠে হৃদয় উছলি।।

কতকিছু এসেছিল মারণাস্ত্র পৃথ্বী বুকে আমরণ দেখি তাই
কতনা সরঞ্জামের ত্রুটি ধরা পড়ে গেছে মানুষের সৃষ্টি বলে;
আমায় আঘাত করে ভোরের পাখিরা সবে আমি নিজে গান গাই
বাকিটা সময় আমি ধ্যানের পরশে থেকে মারণাস্ত্র চলি দ'লে।
ধ্যানের বাহক যিনি তাঁর কাছে আছি ঋণী দেখালেন ফুল কলি,
সুন্দর পৃথিবী মাঝে একটা করুণ বাজে মারণাস্ত্র চলি দ'লি।।

সেই বাঁশি তান আমি ধরতে পারিনা বলে শুনি গোলাগুলি নাদ
মানুষ মানুষে মারে ঘটে কি বা বিধাতারে সর্পিল শহরে জাগে;
তাই আজ কুঞ্জবনে এসেছি ধ্যানের রণে মোছা হলো অবসাদ
মারণাস্ত্র আর আমি চাইনা পৃথ্বীর বুকে মনুষ্য মানুষ লাগে।
অথচ বিধাতা বুঝি দিয়েছে বেদন যুঝি মানুষেরে সেরা জ্বলি;
তাই তারা গুনে চলে নিজেকে নিজেই দ'লে স্বার্থ উঠেছে উথলি।।