আকাশ আমায় মানুষ ভাবে, মানুষ ভাবে নাকো,
বিপদ এলে মনকে বলি কেন মানুষ ডাকো।।
কেন জানি মানুষ ডাকি আনে নেশার পাত্র সাকী,
সেই নেশাতে ভুল থাকি মন তাঁরে নাই আঁকো।।
দূরের আকাশ চিনে আমায় মানুষ চিনতে নারি,
আসল মানুষ বুঝতে হলে কাজের মানুষ ভারী।
পথের সীমা অতিক্রমে ডাকে তাঁরে যারাই দমে,
তারা পোষে নীতি ক্রমে বেদন তাদের সাঁকো।।
কে হয়েছে মানুষ আবার, কে এনেছে বাণী,
মনুষ্যত্ব বুনছে যে জন সে হয়েছে ধ্যানী।
আকার দেখে বলি মানুষ উড়ায় দেখি মন্দ ফানুস,
তাদের আবার দম ফুরালে বলি কবর চাখো।।
জানাজা আর হলে তাদের ক্ষেমের লাগি বলি,
অথচ সেই মানুষ জানি পাপে ছিলো জ্বলি।
পৃথ্বীর মায়ায় পড়ে সে যে ছিলো বাজে গীতি ভেজে,
তার জীবনে ভাবনা ছিলো মৃত্যুকে দূর রাখো।।
আমায় যারা মানুষ ভাবে তাদের বলি লোকে,
আছি আমি তাদের পাশে তাদের নিত্য শোকে।
আর যারা হায় করে হেয় তাদের নিকট অনুমেয়,
আমি যে নই তাদের মানুষ সেই কথাটি মাখো।।
চাঁদের দিকে ক্ষেমে চেয়ে মানুষ আঁকে সুখে,
আমার বেলায় মানুষ পুড়ে অসূয়া বিষ মুখে।
মনের মাঝে হিংসা পুষে সাপের মতন উঠে ফুঁসে,
আমি বলি মনের হিংসা এবার সবাই ঢাকো।।
অবুঝ সুরের বাঁশি বাজাই মানুষ বলে ডাকা,
আসল মানুষ খুঁজি আমি চোখে দেখি ফাঁকা।
স্বার্থ দ্বারা ভাবনা এঁকে কেমন করে রাখবে ঢেকে,
চিনতে মানুষ আগে চেনো মানব হৃদয় লাখো।।