কোন কুলীনের জাতে আমাকে অধুনা ঘাতে স্খলনের ব্যাতিচারে
ভালোবাসা আলেয়াতে মুছে যায় আঁখিপাতে নিদারুণ সভ্যতার--
আগ্রাসনে আজ ডোবে আমার হৃদয় ক্ষোভে জ্বালাময়ী অন্ধকারে
তবুও মেলেছি আমি জাতের দোষেতে নামি চারিদিকে সে আঁধার।
মনে পড়ে সেই কথা মস্তিষ্কে জাগায় ব্যথা জগতের চাপে আজ
নির্মোকে জ্বালায় চণ্ড দেখি চারিদিকে ভণ্ড করেছে নিজের খেলা;
অস্তাচলে ডোবে হিয়া আমি রেখেছি বাঁধিয়া ফসিল সূর্যের রাজ
তখন জাতের দোষে আমার হৃদয় পোষে দেখি রয়েছি একেলা।।

নিজের কণ্ঠের সুরে নিজেকে চিনেছি ঘুরে এই পৃথিবীর জালে
অনিরুদ্ধ করে তাই আমার রাগিণী গাই চুপি চুপি আজ গেয়ে--
সুরেলা মাতন তুলি কেমনে তোমাকে ভুলি এই পৃথিবীর মালে
কুলীনের অপরাধে আজ নিজ মন কাঁদে বিষাদে উঠেছে ছেয়ে।
যামিনীর অন্ধকারে আলোক আসেনা ধাঁরে জীবনের আয়োজন
ডোবে শুধু মিছে জালে পরিচিত নিজ মালে ন্যায়নীতি অবক্ষয়;
চিনতে পারেনি আর এ পৃথিবীর আঁধার কেঁদে উঠে বেগে মন
ধূসর পৃথ্বীর বুকে হরিত গিয়েছে চুকে বলি আজ আর নয়।।

নিজের নির্মোকে স্বেদে ভিজে উঠে মন ভেদে কর্মে নামে বিফলতা
তোমাকে পাবার আশা শুধু বাড়ায় তিয়াসা কোথায় আনন্দ রয়;
শুন্যগর্ভে কিশলয়ে বাড়ে কি আবার সয়ে শোনে কি সকল কথা
তাই চাই শুধু প্রেম নামুক পৃথ্বীতে হেম বলি আজ আর নয়।
এতো বাধা প্রেমে আসে তবু মন ভালোবাসে অকৃত্রিম বাসনাতে
সকল কুলীন ভুলে নিয়েছি আজকে তুলে বাঁশরির সুর ভেজে;
হারাতে চাইনা আর আমার এ অলংকার আজিকে অন্তর মাতে
আসবে বাঁশরি সুরে আমার নিকটে ঘুরে তাই বাজিয়েছি তেজে।।

তোমার চোখেতে জাত নাই জেনেছি আঘাত পৃথিবী তবু না মানে
কিছু মানষের চোখে রয়েছে কুলীন শোকে জেনেছি অধুনা আমি;
চাইনা আবার কিছু রয়েছি তোমার পিছু পেতে চাই হিয়া জানে
তখন দেখেছি ঘোরে আলোকের মহাশোরে ভাসলো নিগূঢ় যামী।।