ভূপতিত পরানের ভূলুণ্ঠিত শাঁখাগুলো উঠি ঝেড়ে মুছে
ললাটের ফের কিবা যায় মোছা একেবারে ভাগ্য তারে কয়;
জীবনের বাঁকে বাঁকে হলুদ পাতার সনে চলি আমি পুছে
বয়স্ক পত্রকগুলো চিনালো আমারে সুখ দিয়েছে আশ্রয়।
কোটি বছরের সেই ধুলো মাখা মন নিয়ে খুঁজেছি ফসিল
আশ্রিত বেদনা সব আদরে সোহাগে রাখে পাতারা হলুদ;
প্রেমের কাঞ্চনজঙ্ঘা বয়ে চলে নিরবধি দেখিনা মিছিল
এক কি দুই পা ফেলে আসে কিছু রমণীরা তাতে হই বুঁদ।।

কেমন সাধিবো প্রেম তাহাদের আমি সুরে বলতে যে নারি
বিষাদের চূর্ণ চোখ হলুদ পাতার ফাঁকে দেখেছে আকাশ;
নীল আকাশের বুকে দেখিনা পাখির ঝাঁক ঝরে চক্ষে বারি
মাতাল চোখের কোণে কোটি বছরের পর হয়েছো উদ্ভাস।
গোধূম পাতারা যেন আজ সেই সুখে ভাসে কমনীয় তানে
আমার সুখের দিকে নজর তাদের ছিলো এসেছে জোয়ার;
তুমি নারী কাছে এসে বলে গেলে নিজ কথা কণ্ঠস্বরে গানে
তাই বুঝি আজ শুনি বাকি সব নারীদের হয়েছে খোয়ার।।

ফিরাতে পারিনি আমি আমাদের এই ভবে রোমাঞ্চিত খেলা
তুমি নারী ফিরে যাবে তখনি খুলেছি মুখ আরামের গানে;
সোহাগের কথা শুধু বলতে চেয়েছি আমি আবেগের মেলা
সবি বলে যেতে নারি হৃদয় হয়েছে ভারী নিজ প্রেম দানে।
ভূপতিত পরানের দোর আজ জেগে উঠে প্রেমের আভাসে;
আমার হিন্দোল মন উদাসী হলুদ পাতা দিকে যায় ফিরে;
গোধূম পাতারা সবে ঝরে যায় নিজ রবে হরিতের গ্রাসে
কোটি বছরের সাধে সবুজের মতো করে তুমি এলে ঘিরে।।