কবিতার শহরের আদি নাগরিক এক স্বপনে এসেছে রোজ
কালিদাস নাম তার হিঙুল মেঘের মত আমাকে শোনায় বাণী;
পারিনা ভুলতে তাই আমি সেই গান গাই করেছি স্বপনে খোঁজ
তাই বুঝি লেখা চলে কবিতার শহরের কথা গাঁথি সুখে টানি।
সহসা আসলো দেখি কবি রবি নিজে আজ বসেছে আমার পাশে
ঝকড়া চুলের এক কবি এসে বলে শুনি দ্রোহের রাগিণী নিজে;
তখন আনন্দে যেন প্রেমের কবিতা শুনি কবি রবি শুনে হাসে
বিদ্রোহের বাণী দিয়ে প্রণয়ের কাটাকাটি শুনে উঠি আমি ভিজে।।
সভার সবচে' গুণী কালিদাস শুনি বলে কোথায় নবীন কবি
আমি হাতে তুলে বলি "এসেছি হে কালিদাস আপনার এ আহ্বানে";
কালিদাস হেসে যেন দিয়েছে আমারে সায় আঁকি কবিদের ছবি
শহরের অলিগলি চিনে গেছি আমি সবি আমাকে কবিতা টানে।
ঠাকুর কি নজরুল করেনি আজকে ভুল তুলে দিলো ফুলতোড়া
সেই সনে দাশ দেখি হেসেছে আমায় দেখে আন্তরিকতা মেখেছে;
সহসা অচেনা এক কবির দেখাতে আজ চালাই লেখার ঘোড়া
ঢুকেছে সে শহরের মূল দরজার দিকে তারে সকলে চেখেছে।।
কালিদাস নিজে আসে এগিয়ে সে কবি দেখে বলে চলে সেরা কবি
আমার হৃদয় আজ ভাবাবেগে হলো সিক্ত দেখে নূরে মাখা মুখে;
এসে বলে সেই বাণী টেনেছে যে ইতি টানি এঁকেছে পটেতে ছবি
আমি শুনি কবিতাটি কবিতার এ শহরে আপ্লুত করেছে সুখে।
এ যেন কবিতা নয় আছে তাতে শুধু জয় বিধাতার নামে লেখা
শুনে নিজ চোখে দেখি এসেছে সলিল সেকি আবেগজড়িত হয়ে;
তখন সে কালিদাস দাঁড়িয়ে জানায় শ্রদ্ধা হয়েছে আমার শেখা
আকাশের তারকারা শুনে সেই কবিতাটি পড়িছে আজকে ক্ষয়ে।।
ঘুম ভেঙে যায় আজ বলতে পারিনি আমি নিজের কবিতা ফিরে
আসরটা ভেঙে গেল স্বপনের মাঝে আজ আদৌ চিনিনি সে কবি;
স্বীয় আফসোস কথা লুকিয়ে রেখেছি মনে বেদনা আমায় ঘিরে
আর এঁকে চলি আমি সেই কবির মতন আমার ধাতার ছবি।।