বিদ্বান কবি এলো যে আজ আমার ঘরের পানে,
তাড়িয়ে দিলাম তাঁরে আমি না বুঝে তাঁর মানে।।
চেয়েছিল ভিক্ষা সে যে একটি পোড়া রুটি,
দাঁড়িয়ে ছিলো ঘর আগলে হাতে নিয়ে খুঁটি,
বুঝতে আমার বোধ আসেনি কেন এলো প্রাণে।।

চলে গেলো আমায় ছেড়ে আমার ব্যবহারে,
ঘরে ফিরে ভাবছি এলো কেন আমার দ্বারে।
ছিলনা তাঁর কোন কিছুই দেখেছি যাই আমি,
তবু তাঁরে আঘাত করে দেখিয়েছি যামী,
চেয়েছিল একটু খাবার  দিলাম না ক্রোধ তানে।।

আবার আমি ছুটে চলি হুঁশ ফিরেছে জানি,
আগল মেলে দেখি আমি রেখে গেছে বাণী।
থালার গায়ে চিরকুট দেখে মজে গেছে হিয়া,
পারিনি আর সংবরণে নিজেকে বাঁধিয়া,
তুলে নিলাম থালাখানি আমার মনের টানে।।

খুলে দেখি চিরকুট আমি রেখে গেছে গান,
এ গান দেখি নয় যে সে গান টেনেছে নিজ প্রাণ।
পড়ে আমি বুঝতে পারি এসেছিল সে যে,
মানুষ রূপে এসেছিল উঠলো হৃদয় বেজে,
নিজের চক্ষে সলিল আসে  পড়ছে দেখি বানে।।

কি হারালাম বুঝেছি আজ পড়ে কথামালা,
এসে সে যে করেছিল আমার আলয় আলা।
আজ বিরহের কবিতাটি লিখেছি রাত জেগে,
আছি আমি সেই আশাতে আসবে যাবো মেগে,
পৃথ্বীর বুকে কেউ কি জানে কি ঘটে আসমানে।।