নদীর তীরে বসেই আছি তোমার তরী আসবে বলে,
সে খেয়ালে আমার হৃদয় আপনা হতে ভীষণ চলে।।
পারিনা আর সইতে ব্যথা হৃদয় আমার বলে কথা,
মুখের আবর মেলে দেখি তারার মতন শুধু জ্বলে।।
স্রোতে স্রোতে নাকাল তরী মানব সৃজন তরীর বুকে,
কেউ দুলেছে কেউবা দোলায় দেখি সবি আত্ম সুখে।
কারো তরী বোঝাই মালে কারো আবার শূন্য পালে,
সবাই করে কাজ অন্বেষণ স্রোতস্বিনী নাইবা দ'লে।।
আমার কর্ম নেই যে এখন তাই বসেছি তীরে থেকে,
চলবনা আর বাঁকা পথে দেখছি সকল আমি ছেঁকে।
কোথায় তোমার তরী ওহে মৃদু বাতাস তীরে বহে,
সে বাতাসে হৃদয় আমার জেগে উঠে প্রাণে গলে।।
এসব ভেবে পার করেছি সময় আমি নিজের বেগে,
চলছে আমার সময় এখন দিবস রাতি শুধুই জেগে।
তরী দেখার আশে প্রাণে গান এসেছে নিতি গানে,
তাড়াই আমার আত্ম কলুষ যা এসেছে মনে খলে।।
আসেনা হে তরী তোমার আশায় কাটাই বাঞ্ছনাতে,
ভ্রুকুটিতেই চেয়ে আছি আকাশ নদীর মিলন ঘাতে।
সেখানেতে গোধূলি রঙ মাখে নিজের সুখেতে সঙ,
ইঙ্গিতে আজ বলছে ডেকে অপেক্ষাতে চলি ছলে।।
হটাৎ দেখি নামছে ভাটা বাঁকা চাঁদের হাসি দেখে,
আমার হৃদয় নতুন করে নদীর সে ভাব শুধু শেখে।
এমন করে তারার সনে রাত হে কাটে ভোলা মনে,
সকাল হলে লক্ষ্য করি আবার সলিল উথলে পলে।।
তখন দেখি বিশাল জাহাজ ভিড়তে চেয়ে নদী তীরে,
আটকে গেছে তলানিতে আমার দৃষ্টি সেথায় ফিরে।
ভাবি প্রথম তরী তোমার ভাবনাতে ভুলের আধার,
বিশাল মানব তরী সেথা ভিড়েনা হে পলির ফলে।।
বোধে আমার জাগে কথা বিশাল মানব তরী দেখে,
ভিড়ছেনা সেই জাহাজ তীরে তলানিতে মাটি মেখে।
তোমার তরী কেমন করে ছোট্ট তীরে আসবে ভরে,
বুঝি ওহে তোমার কৃপার ধারা আমি মাখলে জলে।।