আজকের পৃথিবীর বুকে যারা করে বাস ক্ষমতার সেই আগ্রাসনে
তাদের রসনা জানি চাখিতে নিরত আছে রুধিরের অকৃত্রিম স্বাদ;
জীবনের কোতূহলে আঁখিতে পড়েছে ধরা নিস্তেজ এ পতিত পবনে
ঝঞ্ঝা আসে নাই আর ফিরে আমি চাই শুধু দেখি সব মিছে অপবাদ।
অথচ লাশের গাড়ি নিয়ে গেছে সমাধিতে গোর খুঁড়ে নাম অজানাতে
সেখানে শেয়াল আর কুকুরের উৎপাতে লাশের শরীরে হবে ক্ষত;
আমি দেখি শুধু দেখি অজানা আকাশ পানে নক্ষত্রবীথিকা শুধু মাতে
দিয়েছে তারারা সাক্ষ্য বলেছে দেখেছে সবি অসংখ্য জ্যান্ত চোখের মত।

আমি এক নিরামিষ প্রাণের কথন বলে চেয়ে থাকি ফিরে ফিরে নভে
যদি দেখি অরুন্ধতী ধরা পড়ে নিজ চোখে ডাকবো তাহারে ইশারায়;
জানি আমি শুনবেনা আমার ডাকার ধাঁচ তবু জানি সেই ডাক রবে
নিস্তেজ বাতাসে তান চলে গেলে একবার দিয়ে যায় চিরকাল সায়।
আবার ফিরাই চোখ এই বাংলার বুকে চিঁর ধরা অবিনাশী রাগে
দেখেছি তখন আমি শিম্পাঞ্জির মত মুখ বানরের মতো নেচে নেচে;
বলে চলে গণতন্ত্র আছে বাংলার বুকে কথা শুনে মনে ক্রোধ জাগে
প্রতিবাদ করে আছি বিদ্রোহ কেবল বাছি জানিনা কেমনে আছি বেঁচে।

শয়তান লজ্জা মাখে তার সেই হাসি দেখে জীবনের প্রয়োজন থামে
কুপোকাত হয়ে যাবে শুনি যে লোকের মুখে চোখের দেখায় দেখি নারি;
তাই চোখ খোলা রাখি রয়েছে প্রাণের পাখি দেখি সব পথে ডানে বামে
আর শুধু টের পাই নিস্তেজ বাতাসে ঘ্রাণ ভূতুড়ে লাশের দেহ ধারী।
আজ বড়ো প্রয়োজন অশরীরী মানুষের যাদের করেনা বিদ্ধ গুলি
তাই বুঝি দুই হাত তোলে নিজ মোনাজাত বিচার চেয়ে অত্যাচারের;
মেখেছি পরান দ্বারে আমি আজ নিজ ভারে নিজ বিবেকের সেই বুলি
একদিন জানি আমি পাবে হায়ানারা বেগে পৃথ্বীর প্রত্যাবর্তন টের।।