চলতেছিলাম আমি চোখের দূরত্ব সাথে মেপে দূর আকাশের সীমা
সহসা একটি পাখি বললো আমায় ডেকে দিনের আকাশ তুমি চাখো;
তখনো বুঝিনি আমি কিসের সংকেত তাই করিনি প্রাণের কোন বীমা
আলামত দেখে আমি মনকে বলেছি শুধু এবার পাখির দেখা রাখো।
ফিরাই নিজের চোখ আকাশের দিক থেকে শুনিনি পাখির কুহুতান;
এতো বিশালতা দেখে ভাবছি কেবল আমি ক্ষুদ্র আমার সকল গান।।
অজানা কুহকে মন মেতেছিল জানি আমি চলার পথের গভীরতা
আবার ফিরাই চোখ আকাশের দিকে আমি ধীরে
জাগিছে মনের মাঝে আকাশ দেখার সাধ জেগে উঠে কবিতার কথা
তবু খালি মরীচিকা যেন দূরে আছে লিখা দেখি সব আমি ফিরে ফিরে।
করেছে বিহঙ্গ সেই আবার আমার দিকে ইঙ্গিতে করে চলে আহ্বান;
পাখির আকুল ধারা আমাকে করেছে সারা তাই নিয়ে রচি নিজ গান।।
সহসা মেঘের ভেলা আকাশেতে করে খেলা কালো মেঘ যেন দুর্নিবার
পাখিটি বুঝেছে সবি লুকালো না দেখে রবি জীবনের গান পাখি বোঝে;
আমি দেখি নিজ চোখে মেঘের সাম্রাজ্য চেখে দেখি শুধু প্রবল আঁধার
আমার হৃদয় তবু আকাশের বিশালতা খোঁজে।
তখন মনের ঘরে কে যেন বলছে স্বরে ফিরে যা রে আজ নেই তান;
বুঝতে পেরেছি কথা ফিরবো না আর ঘরে রচে চলি জীবনের গান।।
আবার ফিরাই চোখ বিশাল আকাশ পানে দেখি
নেই পাখি আর কোন বলতে ইঙ্গিতে কথা জানাবেনা সাবধান বাণী;
লাগছে অধুনা যেন কালো সেই আকাশকে মেকি
তখন বোধের ভাষা বুঝে আমি ডাকি তাঁরে হৃদয়ের তরে নেই টানি।
অশনির ঘাত আসে সাথে আসে কড়া হাওয়া নদীর বুকেতে ছুটে বান;
সকল সয়েছি আমি এই ভেবে তাঁর দানে করেছি মানুষ আমি গান।।