জ্ঞানের সোপান বেয়ে বেয়ে উঠতেছিল মারে,
সেখান থেকে খোদা দিলেন ফেলে অন্ধকারে।।
বোঝেনি মার নিজের ভালো,
মুখ করেছে কেবল কালো,
অহংকারের সিঁড়ি বেয়ে জ্ঞান ডোবালো ভারে।
সেখান থেকে খোদা দিলেন ফেলে অন্ধকারে।।
সুখে ছিলো ইবলিশে হায় মগ্ন নিজের কাজে,
রেখেছিল খোদার কৃপা তার হৃদয়ের ভাঁজে।।
হাজার বছর জ্ঞান সাধনা,
মুছে দিলো অহং কণা,
সেই জ্ঞানের ঐ বাহাদুরি করলো বিনাশ তারে।
সেখান থেকে খোদা দিলেন ফেলে অন্ধকারে।।
গড়েন খোদা আদম প্রাণে মাটির সৃজন দ্বারা,
সকল কিছু মধুর করে গড়েন মাটির ধারা।।
বুদ্ধি দিয়ে বলেন তিনি,
সকল সেরা সৃজন ঋণী,
পেলো আদম নিজেরি প্রাণ খোদার কৃপা ধাঁরে।
সেখান থেকে খোদা দিলেন সৃজন শ্রেষ্ঠ তারে।।
খোদা বলেন ফেরেশতাদের করতে তারে নম,
সবাই করে তারে প্রণাম মার ভাবে নয় সম।।
করলো খোদার সাথে কথা,
মাটির কিসের ব্যাকুলতা,
মাটির চেয়ে আগুন ভালো মাতে অহংকারে।
তাই যে খোদা দিলেন ফেলে নিকষ অন্ধকারে।।
শয়তানে সেই অহং বোধে নোয়ালোনা মাথা,
শোনালো সে খোদার দিকে তার জ্ঞানেরই গাঁথা।।
খোদা নিলেন কেড়ে সবি,
আঁকলো মারে যে সব ছবি,
বেহেস্ত থেকে দিলেন ফেলে দোষের অলংকারে।
হারালো মান শয়তানে তাই নিজের অহংকারে।।
অবশেষে চাইলো মারে হারিয়ে সকল কিছু,
তারে দিতে সেই ক্ষমতা লাগতে মনের পিছু।।
শোনে খোদা দিলেন চাওয়া,
গড়ে দিলেন মাটির হাওয়া,
যাতে আদম থাকে যুগল সুখে বেহেস্ত পারে।
শয়তানে যে সুযোগ খোঁজে ভাঙতে যুগল সারে।।
দিলেন খোদা গন্দম ফলে পাপের কলুষ মেখে,
বলে দিলেন আদমকে যে দেখতে না যে চেখে।।
কিন্তু হাওয়া বোঝেনি তা,
ভাবলো সে যে মারকে মিতা,
শুনলো সে যে মারের কথা আবেগ সহকারে।
মারের কথা শুনে যুগল ডুবলো সেই আঁধারে।।
সফল হলে ইবলিশে আজ আদম ছাড়ে স্বর্গ,
এই জগতে আসলো তারা খোঁজে চলে মার্গ।।
দিলো তারা হাবিল কাবিল,
খোদা দিলেন বাঁচতে সলিল,
আর দিয়েছেন মারকে আজি মানব মনের তারে।
সবাই তারে ইবলিশ বলে জগতের আধারে।।