মিস্টার বিন কহিলো ডাকিয়া আজকে আমারে কবি,
লিখবে কি আর নব কবিতায় আঁকিয়া আমার ছবি।
হাসিয়াছি আমি তাহার কথাতে করিয়াছি লেখা শুরু,
তখনি আকাশে নীরদে ছেয়েছে চলে করে গুড়ুগুড়ু।
একটু পরে যে চ্যাপলিন আসে বলে চলে আমি বাদ,
হাসিয়া বলেছে বিন উঁচু স্বরে কেমনে করিলে সাধ।
তাই অবশেষে কাহারে লিখিবো দু'জন কিংবদন্তি,
সহসা বিনেই বলে উঠে আজ এবার দিলাম ক্ষান্তি।
শুরু করে দিলো তাহাদের মাঝে একে অপরের ছাড়,
বুঝেছি অধুনা হবেনা যে লিখা হাসির দমকে পাড়।
চ্যাপলিন যেন সহসা বলিলো আমার আগম আগে,
তাই বলি যাহা মানিয়া চলিতে হইবে জগত বাগে।
বিন অসহায় তাই বলে উঠে সেই হোক সেই হোক,
চ্যাপলিন মনে চাপা হেসে চলে নেই তার কোন শোক।
কিন্তু সহসা শুরু হলো বারি কোথায় ছুটেছে তারা,
মানুষ হাসিছে তাদের কাজেতে আমি হই দিশেহারা।
বিন তবু আসে বলে উঠে আজ পরে লিখা যাবে কাব্য,
তারিখ দিয়াছে আমারে যে বিন দিন হবে সম্ভাব্য।
তখন অদূরে দেখি আমি শুধু চার্লি হোঁচট খেয়ে,
কাদা মাখা পথে গড়িয়ে পড়েছে তবু হাসে মুখে ধেয়ে।
তাই দেখে বিন গড়াগড়ি খায় অমন পথেতে আজ,
তাদের যুগলে হাসির দমকে আমার পড়েছে কাজ।
বলে আসি আমি আপনারা দুই গড়লেন যে নজির,
তাই দেখে মন ছুটে চলে সব কাজ ফেলে ছুটি ধীর।
শুনে সেই কথা দু'জন হাসিছে বিফলে যায়নি তায়,
আবার তখন বিন পড়ে যায় ভবের কাদা ধুলায়।
তাদের কাণ্ড দেখে আশেপাশে সকলে হাসিছে ফের,
অবশেষে দেখি বাদল থামিছে হলো রসিকতা ঢের।
ফিরে আসে তারা ছাউনির তলে থামছেনা তবু হাসি,
মুখের কথাতে করেনি যে পুঁজি তাই তব ভালোবাসি।
একটু পরে যে বিন হাঁচি দেয় চ্যাপলিন হেসে কুটি,
তারপর হাঁচি দিলো চ্যাপলিন বিন ধরে এক খুঁটি।
বলি আজ আমি ফিরে যাব ঘরে এবার বিদায় দাও,
শুনে ওরা তাই ধরল জড়িয়ে কাদামাটি তুমি খাও।
আমার বেহালে যুগলে হাসিছে হই বিভ্রান্ত আজ,
এতক্ষণে বুঝি সেই কৌতুক করেছে হিয়ায় রাজ।
আশেপাশে সবে হেসে হেসে বলে চিননি মানুষ তুমি,
বিন চ্যাপলিন তোমার নিকটে চায়নি কবিতা চুমি।
তারা করে হাসি সৃষ্টি জগতে তুমি হলে সেই পাত্র,
তাই আজকের দশা দেখে হাসি আমরা তাদের ছাত্র।
বুঝেছি এবার আমি কবি নই প্রকৃত কবি যে তারা,
পুরো পথ ভেবে বুঝেছি যে আমি সৃজন করেছে ধারা।
এগুলো করেছে আমার জন্য যাতে লিখি কবিতাতে,
হাসির রাজারা হাসি জাগিয়েছে আমার কবিতা ঘাতে।
অবশেষে ফিরি নিজ গৃহ তরে ভাবিতে ভাবিতে হাসি,
আমি শুধু কবি তারাই কবিতা তাই হাসি ভালোবাসি।