সারসের শুভ্রতার দ্বারে তুমি দাঁড়িয়েছ সকল কুলীন ভুলে
তোমার অগাধ ধন দেখে আমি করিনিকো আমার এ প্রেম;
বুনেছি সঞ্চারণের ভাষা আমি পেতে শুধু কাব্য খাতা খুলে
তখনি দেখেছি নারী তোমার চোখের সেই মাধুর্যের হেম।
নহে তুমি বনলতা কিবা নারী সুরঞ্জনা আবার নার্গিস;
তুমি জানি বিদেশিনী চিনেছি তোমারে চিনি করি ফিসফিস।।

বাংলার বুকে আমি চেয়েছি কিছুটা ঠাই নিজের আবেগে
ভরা জোয়ারের নদী দেখেছি নিজের চোখে পুনঃ দেখি ভাটা;
আমার জীবনে তবু আসেনি উজান বেগে ভাটি আছে লেগে
যেন মনে হয় আজ হৃদয়ের কথা দ্বারা তোমাকেই চাটা।
প্রাণে উপলক্ষ আমি পাই ফিরে বারবার ওগো কিসমিস;
আমার ছোঁয়াতে তুমি উঠিবে ব্যপিয়া জানি নেই মনে বিষ।।

আমার ভাবনা তবু ছুটিছে আলোর বেগে তরলিত হালে
কখনো ভেবেছি আমি সকল অলীক ভাবে আবার বাস্তব;
ছিঁড়েছি অদেখা মন কখনো হয়তো আমি নাই বুঝে তালে
আবার তোমার ছবি রেখেছি হৃদয় কোণে এ মনের শব।
চেয়েছি কেবলি আমি তোমার মতন কেউ হবে মিলমিশ;
তাই আজো করে চলি আমার প্রাণের স্রোতে শুধু ফিসফিস।।

অথচ জানিনা আমি তোমার মনের কথা উদ্ভাসিত বেগে
কখনো ভাবিনি আমি তুমি কারে চেয়ে চলো তোমার উজানে;
তাই বুঝি ছাড়ি ধরি তোমার আনন খানি দ্বন্দ্ব আছে লেগে
দ্বিধা সমাচার আজ হবে বলে আশা বাঁধি এসো কাছে বানে।
ওগো বিদেশিনী তুমি জানোনা কিসের মাঝে খুঁজি আমি দিশ;
পথের চলাতে আমি কথা বলি তোমা' সনে করে ফিসফিস।।