তোমার নিবিড় ছায়া পড়ে
আন্দোলিত করে;
আমার হৃদয়ে তাই -- ফাল্গুনের কথামালা ঝরে
আঁধারের বুকে আমি দেখিনাকো চাঁদ
আমার প্রাণের অবসাদ। অথচ তোমার মুখ -- প্রত্যাশার ছলে;
দেখিবার সাধ জাগে, আশা জাগে -- পুড়ছি অনলে
বাদুড়ের মত নই চোখ আছে দু'টি
তাই আশা জাগে শুধু হৃদয়ের -- চাঁদের মতন তুমি রইবে যে ফুটি।
বহুকাল ধরে আমি বুঝি!
ভালোবাসা ফেনায়িত সাগরের বুকে আছে লীন হালে গুঁজি
শুনেছি তোমার কোলে অলিগলি খেলে;
সেথায় আমায় ধরো মেলে।
দেখেছি কতোনা রূপে পৃথ্বী।
জাগায় আমায় শুধু তিথি
সেই সাথে -- অবিরাম জাগি
দুঃখ হয়েছে ভাগী --
দেইনা তবুও ভাগ একা পুষি
না দেখে তোমায় আমি -- হৃদয়েতে তুষি
যেন মনে বলে তারে খুশি
দুখের ভারের চাপে করেছে কি আমায় অঙ্গার!
আমারে শ্বাপদ চিনে ;
যেমন চিনেছে পেঁচা জাগে শুধু আঁধারের ঋণে।
তেমনি জেগেছি আমি -- বাজিয়েছি রাগিণীকে জিনে
তিথির চাঁদের সাথে আমার হয়েছে আজ আড়ি
চাঁদের লুক্কায়িত রূপে মাখি আমি সুখ
নীরদের সাথে যেন পারি দেই আঁধারেতে লুকিয়েছে চাঁদ মুখ।
জীবনের সব বাণী হয়েছে কি বৃথা আর যেমন বিফল হলো মেঘ;
চাঁদের চাতাকে ঢেকে দেখাতে চেয়েছে নিজ ঘুমন্ত আবেগ।
দেখি নাই তোমারেই -- যেন তুমি চলাচলে দ্রুতগামী প্রাণ
দূর থেকে ভালোবেসে প্রেম করো দান;
আকাশের দিকে দেখি তারকা চেনালো আজ প্রেমসুধা
সেই প্রেম দিয়ে যেন অরুন্ধতীর বুকে বাকি তারা -- খসে,
দেখেছি সকল আমি তোমায় দেখার বাসে পৃথিবীর কোণে বসে
শুধু ছায়া।
আগুনের দাবানলে -- আগ্নেয়গিরি,
যেমন পুড়েছে তার দেহ, অঙ্গার হয়েছে শুধু ফসিলের মাটি
তেমনি প্রেমের ভুখে আজ
আমার ফসিল মন।
তোমার স্নিগ্ধতা খুঁজে চলে
ঘুরে বেড়াই কেবল আমার এ চেনা অলিগলি আজ ভুখে
আশান্বিত!
যদি পেয়ে যাই আমি -- হোক প্রেম সমাচার!
থামাও থামাও তুমি -- লুকোচুরি খেলা যে এবার।
তোমার নিবিড় ছায়া পড়ে আমার এ চরাচরে আলোকিত বলে--
তবু যে দেখিনা আমি মুখ;
মার্গের দিকেতে খুঁজি সুখ
আকাশ -- গুমোট--
নিস্তব্ধতা যেন করেছে আমায় খানখান।
শোনো
খুঁজে যাবো সব গলি চাইনা হারাতে; আর কোনো
তবুও হারিয়ে যায় চেনা মানুষেরা জানি;
বিষণ্ণতা মেখে আজ নিজ পথ চলা
আপনার পাশে কেউ নাই বলে একা কথা বলা,
সময়ের আবহের কথা যেন কাড়ে
মননের ব্যথা বাড়ে
একাকীত্ব আছে বলে;
আকাশের চাঁদ নীরদের ভেদে জ্বলে
চলছে চাঁদের তবু জ্বলা;
একাকী নিজের সনে আমার একলা কথা বলা
সব হারাবার লোক আমি;
দেখি যামী
তোমার নিবিড় ছায়া পড়ে;
হৃদয় উঠেছে আজ একা একা লড়ে।
যদি দেখা হত দু'জনার
নারীর মনের ওই নিবিড়তা দেখে পেতাম প্রেমের আধার;
চাইনা সম্পদ আমি, চাইনি সম্মান আমি সব ঠিক--
চেয়েছি অরুন্ধতীর সেই ঋক্ষ
যার চারিপাশে জানি পুরুষেরা ঘেরা
নারী তুমি সেরা;
তোমার কীর্তি, তোমার স্তুতি গেয়ে
সকল রূপের গান গেয়ে
চেয়ে থাকি আকাশেতে ধেয়ে;
সেথা তুমি নাই;
তাই
তোমার নিবিড় মুখ খুঁজি
মুখ ছায়া বুঝি আজ হয়েছে আমার শুধু পুঁজি।
করি আহ্বান আমি এসো এসো নিকটের ঘরে।
থুরথুরে অন্ধকার আলোকিত করে,
এসে তুমি হেসো; আজ যুগলের স্রোতে ভেসে যাবো বলে
দেখি যে আঁধার
এসো এসো নারী তুমি শুধু যে আমার-
ওহে মোহনীয় নারী, ভারী চমৎকার!
জীবনের বাকি ক্ষণ কাটাবো বলে যে আমি আছি একা বসে
আকাশের দিকে চেয়ে দেখি কত তারা খসে;
খসার আগেতে আমি চেয়েছি তোমায় -- তোমার হৃদয়ে পশে।