একটি কোমল দুহিতার মনে হানলো ঘন কুয়াশা,
সতীত্বনাশ করলো শকুনে চিবালো বাঁচার আশা।
কোমল রূপের চেহারার মেয়ে সরল প্রতিমূর্তি,
ফেনিল ঢেউয়ে চলতো মেয়েটি চড়িয়ে ঢিলা কুর্তি।
সদা হাসি মাখা আননখানিতে থাকতো প্রবল মায়া,
চলনে বলনে শ্লীল মেয়েটির লুকানো থাকতো কায়া।
বাবা-মার বড় আদুরে দুহিতা, মেয়েটি ধাতার দান,
পেল বুঝি তবু নির্মম ভবে নৃশংস পরিত্রাণ।

সহসা সরণি হাঁটছিল সেই সরল, চপল মূর্তি,
তাকে দেখে কিছু বখাটে ছেলেরা শুরু করে নিজ ফুর্তি।
মেয়েটি যে ছিল সহজ, সরল কিন্তু ছিল সে জেদী,
ক্রোধের মাথায় কষে দিল চড়; যা ছিল মর্মভেদী।

পুরুষ জাতটা বড়ই খারাপ; বড় উন্মাদ তারা,
উন্মাদ হলে হিসেব করেনা; মানেনা বুঝি সে ধারা।
ক্রুদ্ধ হয়েছে বখাটের দল করলো অপহরণ,
নির্জন ঘরে নিয়ে গেলো তাকে; করলো ভূষা হরণ।
নিয়তি আজকে ঠিক ছিল আগে; মেয়েটির হল নাশ,
ক্রুদ্ধ হয়ে যে করে ধর্ষণ; মিটালো মনের আশ।

শকুনের দল আঘাত হানলো নারীকে খেলো তাড়িয়ে,
পাপের লালসে মত্ত তারাই; ধাতার গদি নাড়িয়ে।
নিঃস্ব মেয়ের কান্না কেউ তো শুনলোনা কান পেতে,
নিঠুর পৃথ্বীতে নিরত সবাই নরকের পানে যেতে।
এভাবেই খুঁজে পেয়েছে প্রান্ত ধর্ষিতা নারী কথা,
সাপে না কাটলে বোঝেনা কেউ তো সর্প বিষের ব্যথা।

ওরা ধর্ষিতা, ওরাই অবলা পৃথিবীতে  নিপীড়িত,
শিকারি হয়না, হয়েছে শিকার, মনেতে রয়েছে ক্ষত।
ওরা কারো মাতা, ওরা কারো বোন যারা আছে তব মত,
সালাম জানাই ওদের জন্য; মানে মাথা করি নত।