আমাকে নিকটে টানতে তোমার
                লাগে বুঝি আজ শুধু আঁধিয়ার;
আলোকের বুকে কেন যে টানোনা তুমি,
তোমার চরণ চুমি।
        অদেখা ভুবন সেই
                মরণের পরে বুঝি আমি সেই নেই।

অথচ জীবন কৌতূহলের বাঁশি
                গড়েছে আমার আলোকে বিষাদ আসি;
জানি আমি জানি তাই যে আমার জ্ঞান
করেছি সাধনা ধ্যান,
        বাহিরের পানে যতটা দিয়েছ রূপ
ততটা কেড়েছ আমার হতে যে ধুপ
                সীমাহীন সেই হারানোর ব্যথা বয়ে;
                                        চলেছি যে আমি সয়ে।
হারিয়ে যাবার বাসনা আমার নেই
                                ওহে ধাতা তুমি জানি বিচারক সেই।

তোমার নিকটে গেলে বুঝি সব দ্যুতি;
                মেখে দাও তুমি তারা জ্বলে সব পুতি;
সম্মানের এ বাগধারা যেন ভাসে
আমার দূর আকাশে
সেখানে তোমার অবিরল চলাচলে
আমার দু'চোখ জ্বলে।
                                আমাকে পুড়িয়ে যতটুকু সাধ দিলে
আবার তুমি তা বুঝি আজ কেড়ে নিলে।

সমাস ভেঙেছ তোমার বাঁশরি সুরে
                                কেন আছো বহুদূরে;
কিসের তাড়না করেছে আমার ক্ষিতি
কিসের অমন গীতি
                গাইতে পারিনা আমি;
দেখেছি চোখেতে যামী,
অথচ তোমার সূত্র বলেছে আঁধারের পরে দেখা
সূত্র হলোনা শেখা
                এক অনিকেত অনিরুদ্ধের বেগে
এসেছে পিছনে লেগে
স্নিগ্ধ মরণ আসলে তবেই তোমাকে দেখা যে হবে;
                                ক্ষণিক আঁধার নেমেছে কেবল ভবে,
চির আঁধারের বাণী শুনে আমি বুঝি
সেখানে তোমাকে করবো আমার পুঁজি।

তাই মন বলে তোমার আলোক হাসে
                        হয়তো তা আর নহে এ দূর্বাঘাসে;
জেনেছি তোমার আলোকের বাণী দ্বারা
                গড়েছ মানুষ আজ জানি দিশেহারা
তোমার আবাস খুঁজি
                করেছি ভাবনা পুঁজি;
সবুজের বুকে সলিলের ছটা লেগে
        আজ উঠে দেখি সবুজ বনানী জেগে।

তেমনি যদি বা জাগো তুমি চোখ কোলে
                        দেখবো তোমায় আমার চোখের বোলে।
তোমার আলোক পশিবে যখন মুছে যাবে আঁধিয়ার;
                স্মরণের ধারা বয়ে যাবে জানি ওহে তোমার আমার।
গাছের ছায়ায় শীতলতা খুঁজি আমি
        তোমার ছায়ায় অসীম শীতল যাবে জানি আমি নামি;
রুদ্র রূপের তোমাকে দেখার নিছক এ অভিলাষে
                                গাইনি রাগিণী আমার নিজের আশে
তুমি যে কোমল হয়ে;
        আমার প্রাণেতে বয়ে,
দেখাবে নিজের আলো
                মৃত্যুর আগে দেখবো তোমায় সে আশা বুঝি মিলালো।

আজকের সুরে লাগছে নিজেকে শুধু খেলার পুতুল
                        ভেঙে যাবো আমি একটি আছাড়ে মাটি গড়া সেই ফুল।
জেনেছি তোমার কাছে;
        সকল রয়েছে আছে
তোমার করুণা ধারা
                করেছে পাগলপারা।
ভাবনার দোর মেলি
        না হয় তোমার দেখা আমি পাবো মৃত্যু উঠিলে জ্বলি।
অবাঞ্ছিত এ বেদনার ধনে ভারী
                        সইতে যে আজ নারি;
                                             তোমাকে করবো পর
আমার বুকের ঘর
প্রগলভতায় মেখেছি তোমারে বুকে
                                তুমি আছো জানি আমিও যে আছি ভুখে।

আঁধারের রূপ চিনতে লাগে যে আলো;
তাই সে আঁধার চিনেছি আজকে ভালো।
                হয়তো রয়েছ পাশাপাশি জানি কাছে;
আবার রয়েছ তোমার আলয়ে আমার চোখের পাছে।
                                 দুর্নিবারের বচসা করবো ভাবে
তাই ভাবি বেহিসাবে;
তোমার আমার ভেতর নেই তো হাট;
                আছে শুধু জানি তোমাকে দেখতে বাট,
সে বাটে তোমার ছায়া কি আবার পড়ে,
                        ভাবনার দোর মেলে রেখে উঠি লড়ে।

তোমার কিরণে হয়তো ত্রিদিব আসে
                মৃত্যুকে কিবা কেউ আর ভালোবাসে,
                                সকলি তোমার দান
তাই ভেবে আমি দেখেছি যে আসমান।
                                বুঝেছি আজকে কেন লাগে চির অমা;
তুমি যে আলোক যার নাই দাঁড়ি কমা।