শীতের কুয়াশা ভেদে চাদর মেখেছি গায়ে নহে উদলা শরীর
চাঁদনী রাতের কাব্য রচিতে গিয়েছি আমি অধুনা ভীরুতা মেখে;
করেছে আমায় যেন কুয়াশা সম্মুখে এসে চলাচল করে ধীর
নিজের কলম খাতা নিয়েছি নিজের সনে প্রকৃতির রূপ চেখে।
অসংবৃত হয়ে কেউ আসবেনা বনে জানি অমন শীতের কালে
কনকনে শীত যেন কাঁপিয়েছে দেহ হাড় অস্থিমজ্জা উঠে কেঁপে;
শীর্ণ চায়ের পেয়ালা নিয়েছি আমার সনে আমার নিজের ভালে
সিগারেট আছে সনে পান করি নিজ মনে দুই চঞ্চু আজ চেপে।।

বসে পড়ি অরণ্যের গভীরে দ্রুমের নিচে দেখি চাঁদোয়ার আলো
কি মেশানো আছে যেন প্রকৃতির আচ্ছাদনে দেখি শুধু মরীচিকা;
মতিভ্রম যদি বলি হবেনা তাহাতে ভুল রূপ সকলি মিলালো
তবুও চাঁদের দ্যুতি ভেদ করেছে কুয়াশা যেন আছে সুখ লিখা।
ঝিঁঝিঁ ডাকে অন্তরের কথাগুলো শুনে বুঝি জোনাকির ক্ষণপ্রভা
টেনেছে আমায় আজ নিজের ভীষণ বেগে তারকার সনে মেখে;
বনের পশুরা যেন আমায় দেখেছে চোখে বসেছে তাদের সভা
চুপটি করেই তাই লিখে যাই সেই রূপ আমি আজ বেগে চেখে।।

তখন একাকী ক্ষণে প্রেম আসে নিজ মনে নিরজনে বলি একা
স্মরণে এসেছ তুমি সংবরণ করেছি তাই রিরংসা অধুনা ভুলে;
বনের ফুলের গায়ে চাঁদের আলোক যেন হয়েছে আমার দেখা
জানিনা কেমন করে চন্দ্রমার দ্যুতি পড়ে তোমার আনন কূলে।
কল্পনায় সাজিয়েছি সেই রূপ আমি আজ কবির কল্পনা লাগে
আমার চাদর যেন সহসা উঠেছে ভিজে কুয়াশার জল লেগে;
শীতের প্রকোপ এসে ভুলিয়েছে সেই সুখ আনন্দ সহসা ভাগে
ফিরতে হবে যে ঘরে আমার কবিতা শেষ চলেছি প্রণয় মেগে।

চাঁদনীর রাতে বুঝি অলীক বনের কূলে ফিসফিসে ডাকে পাখি
ফিরতে যাবার পথে শুনেছি রাগিণী সেই অধুনা নিজের কানে;
হৃদয়ে জেগেছে পুন নতুন কবিতা আজ মনে হলো মাখামাখি
দ্রুত ফিরি তাই ঘরে কবিতা আপন করে অধুনা নিজের প্রাণে।
অবারিত জোছনার রূপ দেখে আমি আজ কবি হই নব সুরে
প্রাণের কবিতাখানি লিখবো বলেই আজ পুন খাতা মেলে ধরি;
প্রেমের কবিতা আসে অধুনা বুঝেছি আমি যাবে তান বহুদূরে
তখন আমার মনে এসেছে জোয়ার নব কেবলি তোমায় স্মরি।।