খাঁচার পাখির সুখটুকু আজ অন্তরে
গিয়েছে অধুনা কাল যেন তার থামিয়া;
জপিছে সে তার এক ঈশ্বর মন্তরে
তবু যেন দেখি আসিছে আঘাত নামিয়া,
জীবনের বাঁকে সীমাহীন সেই অম্বরে
খুঁজেছে পাখিটি স্বাধীনতা আজ সুখে
তার মতো দশা হবেনা কারোর জানি
খাঁচাটি তাহাকে দিয়েছে আজিকে রুখে।।

জীবনের সব কথামালা ডাকে আনন্দে
জীবন চিনেছে রয়ে সে খাঁচার ভেতর;
একাকী তাহার কেটেছে সময় কি দ্বন্দ্ব
মাখেনি সে তার জীবন সুখের আতর
চলেছে পাখিটি কানন পাখি ডেকে ছন্দে
দিলনা কেউতো আশ্রয় তারে ভুখে
তার মতো দশা হবেনা কারোর জানি
খাঁচাটি তাহাকে দিয়েছে আজিকে রুখে।।

অথচ তাহার কথামালা ছিল স্বাধীনতা
জীবনের সব মুক্তির সুখে নাচিয়া;
চিনেছে আজকে অন্য পাখির ব্যাকুলতা
খাঁচার ভেতর রয়েছে আজো সে বাঁচিয়া
করিছে কান্না মেখেছে সে তার নীরবতা
আসেনি জীবনে সুখ বেগে কৌতুকে
তার মতো দশা হবেনা কারোর জানি
খাঁচাটি তাহাকে দিয়েছে আজিকে রুখে।।

বাঁচার আকুতি মেখেছে খাঁচার বন্ধনে
মুক্তির স্বাদ কেবা না চেয়েছে জীবনে;
কেউতো শোনেনি তাহার বিবশ ক্রন্দনে
মুক্তি আসিবে বুঝেছে সে তার মরণে
তাই রয়ে গেছে খাঁচার দেয়াল অঙ্গনে
খাঁচার দেয়াল ভাঙতে চেয়েছে মুখে
তার মতো দশা হবেনা কারোর জানি
খাঁচাটি তাহাকে দিয়েছে আজিকে রুখে।।