কোটি কোটি ছায়াপথ মেখেছ অন্তরে তুমি বিচরণ করি আজ সুখে
দিয়েছ আনন্দ তুমি আবার দিয়েছ জরা মেখে দিলে মন করিডোরে;
তারকার সাথে তাই আজ আমি ছুটে যাই নীহারিকা মাখি নিজ ভুখে
রাতের বিলীন এলে হয়ে যাই একা ছেলে সূর্যের উত্তাপ দেখি ভোরে।
তখন সে ছায়াপথ আমাকে আকুল করে লীন হয়ে ডাকে নিজ স্বরে;
আমার অচেনা পৃথ্বী চিনিতে পেরেছি আমি দ্যুতি নামে পৃথ্বী সরোবরে।।

আদিগন্ত খেলনার পুতুল করেছ জোরে আমাকে পুতুল করে মেখে
তোমার যাপিত কাল আমার নামেনি ভাল অজাগর ফুলে ফেঁপে উঠে;
তাতে দেখি মেখে দিলে আমার রজনী তিলে উঠেছি পরানে আমি চেখে
তখনি সে সমুদ্রের বুকে মেখে দিলে তুমি ছায়াপথ খালি এসে ফুটে।
কল্পনার রঙে আঁকি নিজের পরান পাখি তোমার পাণিতে বন্দী করে;
আমার চলন সীমা হলনা করা যে বীমা দু'চোখে আঁধার দেখি ভরে।।

তোমার করুণা পেলে তোমার নক্ষত্র মেলে নিজের আলয় হতে এসে
তোমার করুণা পেলে পৃথ্বীর সাগর ভাসে সারা রাত কিবা সারা দিনে;
তুমি ছাড়া বাঞ্ছনার আগুনের শিখা জ্বলে হয়নি যে এমন তা ভেসে
তাই আজ রজনীর স্বপন হয়েছে ধীর একা আছি আমি তুমি বিনে।
বন্দীর কথা যে আজ মাখে নিজ কারুকাজ মুক্তি গীতি নামে চরাচরে;
তখনি দু'চোখে দেখি আরো গাঢ় আঁধিয়ার আকাশের তারা নাহি ঝরে।।