রক্তিম সাগর বুকে উনিদ্র লহরী খেলে টানে আজ কারে
নারীবাজ পুরুষের বহুগামী চলাচল যেন আজ সিদ্ধ;
পতিতালয়ের বুকে পুরুষের চলা আজ দেখি আমি ভারে
নীতির স্খলন যেন গণিকার তলপেটে গিয়ে করে বিদ্ধ।
অথচ নিজের ঘরে সুন্দরী গৃহিণী কাঁদে নাই পেয়ে তারে;
কোথায় নীতির খেলা নটঘট মুখে বলা দেখি অন্ধকারে।।
ফিরেছে নিজের ঘরে নপুংসক হয়ে আজ ফিরিতে না চাহে
বেশ্যার শরীর গিলে ক্ষুধা নিবারণ হলো পুরুষ কেমন;
সন্তান রয়েছে ঘরে তারা চায় সেই পিতা তাই গীতি গাহে
অথচ ভুলেছে সবি আঁকে পথভ্রষ্ট ছবি কি বা তার মন।
গৃহিণী বুঝতে পারে স্বামীর সে মনোভাব ভালোবাসা হারে;
জীবনের প্রয়োজন মিটাবে কেমনে আর জগতের দ্বারে।।
এই জগতের ছবি আঁকেনা কেউতো আর বাহিরেতে সুখী
নারীর আনন ফোটা হয়েছে বিফল আজ পতিতারে চেয়ে;
তেমন পুরুষ জানি সারাটি জীবন ধরে থাকে প্রেমে ভুখী
সুখের কাতর মন বোঝেনা যে প্রয়োজন ছোটে সেথা ধেয়ে।
বহগামী পুরুষের লজ্জা কি বা আছে আর চলে অহংকারে;
জীবন সঞ্চয় তার করেছে জগতে ভার ডোবে অন্ধকারে।।
রক্তিম সাগর বুকে প্রেমের ফসিল মন থেকে ঝরে রক্ত
অবলা নারীর চোখে রুধিরের অশ্রুকণা করেছে যে ভারী;
চোখের সাগর বুকে আর সব পুরুষেরা হলো তার ভক্ত
স্বামীর এ আচরণে বিপথে ছুটেছে নারী ঘেঁষেছে বাহারি।
পুরুষের চোখ বোঝা নারীর বিপথে চলা মেলে অলংকারে;
বেড়েছে নীতির ক্ষয় পায় রমণী আশ্রয় নিকষ আঁধারে।।