প্রাণের শাঁখায় প্রাণ ছুঁয়ে যায় উন্নত মম শির,
মনের ভেতর আঁকি যে তোমায় সত্যি হে তুমি বীর।
আমার প্রাণের সঞ্চার ঘটে,
তোমার কবিতা ভাসে মনো তটে,
পড়লে তোমার কবিতা সকল হয়ে যাই অস্থির।
মনের ভেতর আঁকি যে তোমায় সত্যি হে তুমি বীর।

তোমার কবিতা প্রাণের কথন তোমার কবিতা জ্বলে,
তোমার ছায়ায় রুদ্রও হাসে সকল মনের তলে।
নামে তুমি যেন চির ভাস্কর,
এঁকেছ কাব্যে তেজী রবিকর,
পড়ে তাই যেন কাঁদে মোর চোখ ভাসে শুধু সেথা নীর।
মনের ভেতর আঁকি যে তোমায় সত্যি হে তুমি বীর।

তোমার গানের পঙক্তিমালা আনে মনে উচ্ছ্বাস,
বিদ্রোহ যেন জাগ্রত স্বরে হয়ে যায় প্রতিভাস।
তুমি চঞ্চল তুমি তাঁর দান,
তুমি কাব্যের খোলা আসমান,
তোমার কবিতা পড়ি আমি তাই মনে মনে হই থির।
মনের ভেতর আঁকি যে তোমায় সত্যি হে তুমি বীর।

অমানিশা সব টুটে গিয়েছিল তোমার লেখার তরে,
তোমার কবিতা কাঁপায় বিশ্ব অরি কাঁপে যেন ডরে।
কি তার ছন্দ কিবা তার ভাষা,
বিফল মানব মনে বাড়ে আশা,
বন্ধ দুয়ার ভেঙেছিলে তুমি কপাটে যে ধরে চির।
মনের ভেতর আঁকি যে তোমায় সত্যি হে তুমি বীর।

তুমি ছিলে জানি সকলের মনে তুমি ছিলে বুলবুল,
তোমার গানের কথাগুলো আজো মনে ভাসে নজরুল।
মনের ঘাটেতে করাল বিনাশ,
আমার হৃদয় করে হাঁসফাঁস,
প্রকট সত্য তুলে ধরেছিলে সত্য হলো স্থির।
মনের ভেতর আঁকি যে তোমায় সত্যি হে তুমি বীর।

পাষাণের বুক চিঁড়ে তুমি জানি এনেছিলে নব রবি,
দেখিনি ভুবনে এতো তেজ আর কারোর লেখায় কবি।
তোমার কবিতা অগ্নির বাণী,
শপথে তোমার ছিল সম্মানী,
বাতাসের গায়ে এঁকেছিলে তুমি ছুঁড়েছিলে তাতে তীর।
মনের ভেতর আঁকি যে তোমায় সত্যি হে তুমি বীর।

আজ নেই আর তোমার মতন এমন দ্রোহের লেখা,
চাই শুধু চাই তোমায় আবার আমাদের মাঝে একা।
উড়ালে তুমি যে বিজয় কেতন,
পড়ে পড়ে তারে করি যে যতন,
অগ্নিবীনা ও বিষের বাঁশির লেখা করে মনে ভিড়।
মনের ভেতর আঁকি যে তোমায় সত্যি হে তুমি বীর।

দুখু মিয়া তুমি জানতেনা সুখ, আনন্দ কাকে বলে,
তোমার হৃদয়ে দুখের আধার মিশেছিল যে উছলে।
তবু তুমি যেন হাঁটনি কো পিছে,
মিথ্যাকে তুমি করেছিলে মিছে,
তাই আজ আমি তোমার কবিতা পড়ে বাঁধি মোর নীড়।
মনের ভেতর আঁকি যে তোমায় সত্যি হে তুমি বীর।