চোখের তারায় অভাব দেখেছে তার কিবা আর শুধু প্রেম আসে,
তাই বুঝি কবি লিখেছে পৃথ্বীতে বিদ্রোহী তেজে দ্রোহ শুধু হাসে।
চমকে চমকে লিখেছে কবিতা দমকে দমকে লিখা আছে তেজ,
ছেড়ে দিয়ে গেছে কোমল আদর ছেড়েছে সুখের মখোমল সেজ।
ক্ষীরোদের রস তার যে জোটেনি ছুটেছে কেবল ভাত আর ডাল,
ঘিয়ে ভাজা সেই ইলিশের ভাজি যৌবনে তার মিলেনি সে তাল।
লিখে গেছে সে যে বিদ্রোহী নামে একটি কবিতা অমরের বাণী,
মুছে দিয়ে গেছে প্রাণের আকুতি তার পরিচয় দিয়ে গেছে জানি।
এতটা চমক দেখিনি কারোর কবিতার মাঝে আমি আর আগে,
যেমনে ফুটেছে কমল সলিলে টলোমল করে সলিলে যে জাগে।
জীবনের সব ক্ষুধা তাড়নার অর্থ বয়েছে কবিতার তরে,
তার লিখা শুধু বেদনের জাগা মানুষেরা বোঝে আর শুধু পড়ে।
কোথায় সমাধি হবে সেই কথা তুলে,
জানালো কবির ধর্মের মান আপনার সাজি উঠে শুধু দুলে।
ভালোবাসা তার সিক্ত আদরে সোহাগে যতনে মেলে উঠে ডালি,
পসরা সকল জেগে উঠে শুনি কবিতার রূপে চাঁদ হলো ফালি।
অথচ জীবন তার কাছ থেকে কেড়েছে যে ধন নিজ মহিমায়,
কেবা বোঝে আর বিষের জ্বালাটি দিয়ে গেছে কবি তবু নিজ সায়।
নিজের শেষের কথা তুলে ধরে যদি বলি আমি তারে শুধু কবি,
কিছুকাল সে যে লিখেছে কবিতা এঁকে গেছে তবু সকলের ছবি।
বেদনে তাহার ছিলো জানি দ্রোহ আরো ছিল প্রেম প্রণয় উজানে,
তার মত কেউ এত কম কালে লিখেছে কবিতা জানিনা যে বানে।
প্রেমের কবিতা, দ্রোহের কবিতা কিবা যদি বলি বিধাতার দানে,
লিখে গেছে সে যে অলীক কবিতা কিবা ঘটে যেন দূর আসমানে।
সহনশীলতা মেখে গেছে সে যে সাম্যের কথা ফুটে উঠে তাই,
তাই আমি কবি অমন কবির কবিতার ধারা তুলে যেতে চাই।
দ্রোহের আগুন পুড়িয়েছে মন আজকের দ্রোহ তার চেয়ে কম,
দেখিনি আমি যে অন্য কাউকে লিখেছে যে দ্রোহ ছিল বড় দম।
প্রাণে উদ্ভাসে তাই আজ সেই কবির জন্য মনে ভালোবাসা,
কেউ না মানুক আমি মেনেছি যে তার মত কবি পাওয়া যে দুরাশা।