আমাকে আকাশ দিলে দেখতে কেবল তারে দূরবীনে রাখি আমি চোখ
অথচ মানুষ সেথা গড়েছে আবাস নিজ আন্দোলিত করে চলে মন;
আমিও চেয়েছি যেতে সেইখানে গড়ে নিতে আবাস আমার লাগে শোক
তবু যে স্বপন বুনি অন্তরের গান শুনি করে চলি সেই আয়োজন।
পৃথিবীর বুকে থেকে বিফল স্বপন বোনা আমার হয়েছে আজ সাধে
পারিনা কিছুই আমি তোমায় ডাকছি তাই দাও আজ আমারে সে শক্তি;
ভূলুণ্ঠিত হলো আজ আমার সকল কীর্তি পেয়ে সব মিছে অপবাদে
জাগিয়েছি প্রাণ তরে আমার নিজের ঘরে করেছি তোমারে চণ্ড ভক্তি।।

আকাশের সব কিছু নগণ্য তোমার কাছে আমার নিকটে তা অজ্ঞাত
সে বিশাল তারকারা আমাকে টানছে আজ তাদের সে মায়াজাল ভেদে;
পারিনা করতে জয় তোমার মনুষ্য সৃষ্টি করেনা আমাকে আজ খ্যাত
তাই আজ বিষাদিত আঁধিয়ার দেখে আমি আকাশকে চাখি ব্যবচ্ছেদে।
অন্তরের গান আজ জাগিয়াছে নিজ তানে আমার করেনা কোন ক্ষিতি
সে রাগিণী তুমি জানো আরো জানো অভিমান জীবনের সব আয়োজনে;
আমার রাগিণী আজ আকাশের মাঝে ভাসা পাখিদের মত নিজ গীতি
গোপন করিনা কিছু তোমার নিকটে ওহে যা আছে তা বলি নিজ মনে।।

সাধ্যের অধিক চাওয়া জানি হয়ে গেছে আজ চক্ষুর চাহিদা মেপে চাই
পৃথিবীর নিজ কোলে আমার গানের কথা ফোটে শুধু মানুষের মাঝে;
আমার গানের কথা স্যাটেলাইট জগতে ছড়াক তা আমি শুধু গাই
তাই আজ নিরজনে বুনেছি আপন গীতি অমন করুণ খিন্ন সাঁঝে।
তোমার দানের সেই অভিমান জাগে শুধু তোমার নিকটে ওহে ধাতা;
বিধাতার কাছে কিবা করা যায় অভিমান ছুঁতে চেয়ে আকাশের চাতা।।