আমি হবো নীরদের বারি
খুঁজে যাবে সকলেই আপন ত্যাগের দ্বারা নিজ কমা দাঁড়ি;
নেমে যাবো পৃথিবীর শুষ্ক ভূমির হৃদয়ে আমি
তৃষ্ণায় কাতর হয়ে নামি।
চারিদিকে সমুদ্রের সফেন হিল্লোল যেন সঙ্গী হতে চাইবে আমার
মানুষেরা চেখে যাবে অকূলপাথার।
আমি সেই আঘাতের বান দ্বারা এনে দিবো জলোচ্ছ্বাস
ভূমির হৃদয়ে জানি কেবল আমার হবে বাস,
প্রেমের কাহন বলে ঝপ করে বসে রবো নদীনালা বুকে
ফুলের পাপড়ি বুকে টুপ টুপ করে আমি পড়বো যে সুখে।
আমার সহিত রবে পাহাড়ের পরকীয়া প্রেম
ক্ষণেকের রূপ দেখে চেখে যাবো আমি তাই চলার সরণি
নামিয়ে দিয়েছি আমি পুলকাঞ্চিত বাতাস সেথা মাখা আছে শুধু হেম।
কাঁপিয়ে দিয়েছি আমি আমার চলার ধারা আমার ধরণী।
আমার পড়ন্ত বেলা ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন কিবা তুফানের
মেখে দেবো আমি সুখ মানুষকে ঢের,
আবার আমার রূপ ভয়াল হলে যে জানি চৌদিকে পড়বে বাজে
মানুষ তখন জানি অভিশাপে ভাসাবে যে রবো আমি তখনো বিরাজে।
আমার পতন দেখে কেউবা হবে যে কবি আমার কারোর মন্দ দশা
চাষাদের প্রাণ আমি; আবার চাষার লাগি বিপদের বুকে মোর পশা।
বহুরূপী আমি আজ কখনো কালোর বেশে এসে;
কখনো আমার রূপ হিরণ দ্যুতির আসে পেশে
সইবে সকলে জানি আমার বহুরূপতা;
অশনি আমার সাথে রাগান্বিত হয়ে জানি বলবে আপন কথা।
থামবে না আমার চলা জানি
পেশ করে যাবো আমি আমার ধাতার সেই বাণী।
আমি হবো নীরদের বারি;
আঘাতে আঘাতে আমি ঝরে যাবো নানা বেগে চঞ্চল ধারায় সারি।
রবে শুধু চিরকাল আমার চলন বেগে
আকাশের চাঁদ, তারা কিবা রবি দিশাহারা হবে কেবল আবেগে।
আমার স্বজন শুধু বাতাস হয়েছে জানি আজ
আমার ধারক মাতা আকাশটা করেছে বিরাজ
তাই আজ বিধাতার সাধে যেন আমাদের চলা
আমাদের কাজ হলো নির্ঘোষে নির্ঘোষে জেগে আপনার কথা শুধু বলা।
আমার ধারাটি পেয়ে পৃথিবীর সব জলাশয়
সুখের নহরে দেবে আপনার নিজ তাল লয়।
ভরে দেবো আমি সবে নিজের গানের ধারা মেখে
লোকে শুধু দেখবে তা চেখে।
থেমে যাবে জানি আমি আমার সকল গীতি থেমে গেলে এই ধরণির;
বিধতার অভিলাষে কখনো হবো যে আমি বীর,
আবার কখনো আমি ত্রাসের জগতে;
মানুষের কাছে হবো কাপুরুষ চলনের ধারা দ্বারা ক্ষতে
এ আমার হবে শুধু চলা;
আজ তাই বলে যাই আমার সাধের কথা নীরদের মত করে ঢলা।