মাদল বাজিছে পাখোয়াজ বাজে থাম রে এবার থাম,
আজ পথ বুকে মেখেছি আমরা মনের চিঠির খাম।।
দাঁড়া দাঁড়া দাঁড়া সমুখের পথে,
ফাঁদ কে পেতেছে দেখি সেই স্রোতে,
যেন মাখা আছে দামামার সুর বিজয়ে ঝরেছে ঘাম।।

হিরণের দ্যুতি মেখে দেখি হাসে পলাশের বাণী আজ,
চিকচিক করে সোনালী সকাল দেখি সবে কারুকাজ।
দেখেছি কি তাঁরে জানিনা আমরা,
তবে কেন জ্বলে দেহেরই চামড়া,
ফাঁদ সে তো নয় ভেবেছি শুধুই আমাদের অরি ধাম।।

আগুয়ান হয়ে দেখি কাছে গিয়ে বর্ষার নীপে ফোটে,
চাপা হাসি ছলে বিরহ যে জ্বলে আমাদের মুখ জোটে।
পার করে যাই যারে ফাঁদ ভাবি,
পারিনি আমরা হতে বেহিসাবি,
জপে চলি সুখে ইন্দ্রজালের আলোকে জ্বলিছে নাম।।

পেয়েছি আমরা এসে নিকটের সেই সে সুখের তটে,
ফাঁদ মুছে যায় সেখানে দেখেছি সাগরের গান রটে।
তীরে এসে দেখি একখানি তরী,
কখন যেন রে নামে বিভাবরী,
তবু যে সুমখে জ্বলছে দেখেছি আলেয়ার ন্যায় দাম।।

আজ বাসনার পূরণের লাগি আমাদের কতো কথা,
মাঝ সাগরের বুকে ভেসে চলি জাগে শুধু ব্যাকুলতা।
হিরণের দ্যুতি সেই মরীচিকা,
যতো কাছে যাই যেন দূর লিখা,
না পাওয়ার এই যাতনা সয়েছি ভেঙে যায় মন কাম।।