আমায় তুমি আগুন করে
পাঠালে এই পৃথ্বীর তরে;
খেলছি আমি জলের সনে আজ
মাখছি কেবল পৃথ্বীর কারুকাজ।
সন্ধিহান এ মনের তরে করছে খেলা ভারী;
আমায় তুমি আগুন করে ভবে দিলে বারি।
বারি আমায় নিভিয়ে চলে জোরে
আমি আছি ঘোরে
আবার দিলে বায়ু;
কমছে প্রাণের আয়ু।
আমার নাশে কাঁদে লোকে খুবি;
সেথায় আমি নিজ আনন্দে ডুবি।
প্রাণের পরশ দেখলে আমার জ্বলে;
রেখেছি সব মারের ছায়া তলে।
আমার নাশের কথা ভেবে লোকে;
মাতন তোলে শোকে
কোথায় তাদের ছায়া
দেখলে আমার রূপের কদর কাঁপে তাদের কায়া।
দমাতে আজ আরো দিলে বালি;
ওরা আমায় থামাতে চায় সেই বালি আজ ঢালি।
আমার জাগে খুন
কোন আলেয়ার লেলিহানে আমি আজ আগুন।
পোড়াই আমি ঘরবাড়ি সব
পোড়াই আমি সকলখানে স্নিগ্ধ সুখের কলরব।
আমায় দেখে ভয় করেনা এমন প্রাণী নাই
কেবল ভাবি তাই।
সফলতা আমার কাছে নয় অধরা আজ;
ওদের কাছে আমি ফানুস করি যে বিরাজ;
আমায় পোষে আমায় লাগে সব মানুষের কাজে
রাখে উনুন ভাঁজে
রাখে ওরা আমায় শুধু ওদের নিকট ঘরে;
মানুষ ওরা জানিনা আর কি আছে অন্তরে।
সকল ক্ষিতি সাধন করি আবার সকল পুণ্য;
আমি যে আজ ধন্য।
আছি আমি জগত বুকে আরো আছি কোথা;
জানেনা যে সকল লোকে তথা।
আমায় পোষে নরক, নিরয় দিলেন ধাতা এঁকে;
পোড়াবো তাই বেঁকে।
এইতো আমার সাধ;
দিলে অপবাদ
আমি আরও জ্বলি;
আগুন আমি নির্নিমিখে উঠেছি উছলি।
আমার কোন বিফলতা নাই;
সকল মানুষ পুড়িয়ে মারি আমি আগুন তাই;
শুধু আমি বিফল হলাম এই জগতে ধীরে;
ভাবছি অতীত আমি ফিরে ফিরে;
পারিনি আর পোড়াতে যে নবী ইব্রাহীম;
জ্বালিয়ে দিতে গিয়ে আমি হলাম কেবল হিম।
আমার সাধের ইচ্ছা বুঝে শয়তানে কয় আছি;
কিন্তু খোদা খেলেন আমায় নিয়ে কানামাছি।
সেই বিফলে আমার মনে আজো আছে খেদ;
পুষিনা আর জেদ;
আমার গুণের কদর করে লোকে;
আবার আমায় মারছে লোকে শোকে।
সব মিলিয়ে আমি আছি পরবাসীর মত;
তবু যে নাই আমার মনের ক্ষত।
মিলিয়ে গেছে যুগের হাওয়ায় আমার উপকার;
মিলিয়ে গেছে ভাবছি আমি ধাঁর।
বুঝেছি আজ এসে;
তাঁরে ভালোবেসে।
সব বুঝেছি দোষের সাথে আমার আছে গুণ;
আমি যে আগুন।