হাজার বছরে আসি একবার যুগে যুগে আসি নাকো,
আমাকে তোমরা তবু কেন আজ কবি বলে নাই ডাকো।।
সিঞ্চিত জলে ফসল ফুটেছে    সোনালী ফসল আবার লুটেছে,
আসে প্রতিবার সে ফসল জানি যদি ঠিকে চারা আঁকো।
আমাকে তোমরা তবু কেন আজ কবি বলে নাই ডাকো।।

বিষাদের চূড়া পাড়ি দিয়ে আমি লিখেছি কবিতা সবি,
এঁকেছি আমার বেদনের কথা এঁকেছি প্রাণের ছবি।।
কলমের কালি শেষ হয়ে যায়    পেলাম না আর তোমাদের সায়,
তোমরা সকলে আমায় কেবল গোপন করতে ঢাকো।
আমাকে তোমরা দেখি শুধু আজ কবি বলে নাই ডাকো।।

প্রসবের জ্বালা মাতা বোঝে ভালো কবি কবিতার জ্বালা,
সে জ্বালায় জানি রয়েছে পুলক দেয়না সুখের তালা।।
তেমন জ্বালাতে সুখ পেয়ে আজ    করেছি কবিতা মাঝেতে বিরাজ,
তোমরা তবু যে পাঠকের বেশে নিরস হয়েই থাকো।
আমাকে তোমরা দেখি যেন আজ কবি বলে নাই ডাকো।।

পাঠকের কাছে ছড়িয়ে দিয়েছি আমার কবিতা পাতা,
রোদের কোলেতে কিবা সেই জলে মেলেছি কাব্য ছাতা।।
তোমাদের মনে জায়গাটি নিতে    চেয়েছি আকাশে আমি ভ্রুকুটিতে,
তবু দেখি আমি বিরশের মনে আমাকে সরিয়ে রাখো।
আমাকে তোমরা অবহেলা করে কবি বলে নাই ডাকো।।

জীবনের গান বিষাদের সুরে বাঁশরির ফুঁকে ছোটে,
আমার ললাটে আজ শুধু দেখি হেলা এসে শুধু জোটে।।
ফিরালে তোমরা তোমাদের মুখ    বাঁধবে আমার মনের অসুখ,
সেই কথা আজ বলেছি আমার বেদনে বেদন মাখো।
আমাকে তোমরা গানের সুরেতে কবি বলে নাই ডাকো।।

কবি যদি হই হবো একদিন বিচ্ছুরণের বাতি,
হাজার বছর পরে জ্বলে যাবে আমার কবিতা ভাতি।।
আফসোসে তবু নিজ মন পুড়ে    দিলেনা মূল্য দিলে সব ছুঁড়ে,
সময়ের কালে এলোনা বিজয় মরণে বেঁধেছি সাঁকো।
আমাকে তোমরা একবার তাই কবি বলে শুধু ডাকো।।