আধুনিক বাংলা কবিতায় পানিং ব্যাপারটা খুব একটা নেই । তার কোনো কারণ বা অকারণ কিছু থাকতেই পারে । আমরা যারা এখানে লিখছি তাঁরাও যে খুব একটা ভাবছি বিষয়টা নিয়ে এমন আশা দেখিনি গত দুমাসে ।পট্ল বাবুর ছড়ায় খানিক লক্ষ করেছিলাম। কবিতা হোক বা ছড়া যেকোন লেখাকেই অনেক আকর্ষণীয় এর চেয়েও বেশি কিছু করে তুলতে পারে শব্দ নিয়ে খেলা কিংবা ছেলেখেলায়।
বাঙ্গালির বেগ ও আবেগ দুয়ে মিলে রবীন্দ্রসঙ্গীতও মানে বদলে ল্যাট্রিন সং হয়ে ওঠে। চমকাবেন না। ছোটবেলা থেকেই একাধিক এমন গান পটির প্রসঙ্গে অব্যর্থ ভাবে মিলে যেতে দেখেছি । যেমন ,
'তোমার হল শুরু , আমার হল সারা!' বা 'এসেছিলে তবু আসো নাই, জানায়ে গেলে!' মনে পরছে নিস্চয়ই? এমনকী আমরা চর্যাপদের জ্ঞানীদের নাম গুলোকেও ক্ষমা করিনি--
যেমন ভুসুকপাদ, লোমপাদ-- এরকম অজস্র নাম কেবলমাত্র পাদ-দেশে এসে বাঙ্গালির খোরাক হয়েছে !
কিংবা কল্পনা করুন এমন একটা সিচুয়েশন :
- শোন , বৃষ্টিটা একটু ছাড়লে বেরোস।
-ছাড়লে ! বৃষ্টি আবার ছাড়বে কাকে!
-আহা, ছাড়লে মানে কমলে। কথার ভুল গুলো তো ছাড়লেও পারিস।
-ছাড়লে, মানে কমালে?
-না রে বাবা! উফ্, মাথা ধরিয়ে ছাড়ল।
-ছাড়ল , মানে মাথা কমল!
-ধুত্তেরি! বলছি বৃষ্টিটা একটু ধরলে বেরোস, এখন বেরোসনা ।
-বৃষ্টি আবার ধড়বে কাকে ?
-ধরলে মানে কমলে ।
- ঘাট হয়েছে । চুপ কর তুই , হাতে পায়ে ধরছি তোর ।
-আমার হাত পা কমাচ্ছ?
(ক্রমশ)
আসরের নতুন সদস্য হিসেবে কবি বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ রাখছি পানিং ( পান করে চলা নয় ) নিয়ে কিছু করার । মাঝে মাঝে একঘেয়েমি মাথা ধরায় ( না না, কমায় না)। নতুন কিছুর আশায় রইলাম ।
ভাল থাকবেন প্রত্যেকে । শুভেচ্ছা সহ ।