এই ঝিলের পাশে বসেই লিখছিল ছেলেটা...
ধেউ তোলা চোখে মেয়েটা বার বার এদিকেই
সুন্দরী বলা চলে , তার বেশি না ।
কিছুটা সময় চলে গেছে লেখায় ...
আচমকা মেয়েটা নাম ধ'রে ডাকে ...
এ নাম ওর না... ওকেই ডাকছে তবু ।
ছেলেটা বলতে গেল , মেয়ে থামেনা... শব্দের পর শব্দ...
আবোলতাবোলের মতন শুনছিল ছেলেটা।
অনেকটা সময় চলে গেছে কথায় ...
মেয়েটার কিছু মনে নে... বাড়ি, কাজ...
নিজের নামও না।
ওকে বাড়ি নিয়ে গেল। মাকে ডেকে বলতে গেল...
মা এলেন তেড়ে ...
" তোর কি মাথা খারাপ হয়েছে , কোথায় মেয়ে ???"
মা বেড়িয়ে গেলেন । ছেলেটা ভয় পেল ... আমি দেখছি আর কেউ দেখছে না !?!
মেয়েটার হাত ধরতে গেল
পেল না ...
ভয়ে কাঁপার মত অবস্থা ...
মেয়েটা কাঁদছিল ... আমি কে ! আমি কে ! কান্না ...
ছেলেটা চোখ মোছাতে গেল, আঙ্গুল ছুঁলো না।
সেই রাত গেল... তার পরের ... তার পরের
কথার পর কথা ... রাস্তা, হাঁটা... কেউ দেখছে না মেয়েটাক...
ছেলেটাকে লোকজন পাগল বলতে শুরু করত ।
মেয়েটার মনে পড়ল
বাড়ি-কাজ-সংসার... নামও ।
ছেলেটা পেল ঠিকানা খুঁজে... এই নামের মেয়ে হসপিটালে আছেন বেশ কয়েকদিন কোমায় ।
ছেলেটা হাসপাতাল ছুটলো...
ডাক্তার বললেন ট্রায়েড দেয়ার বেস্ট ...
ছেলেটার সামনে মেয়েটা দাঁড়িয়ে ... স্পষ্ট রিজু দেহ ।।
হাসপাতালে শোয়ানো একই শরীর...
কেউ দেখছে না সামনে দাঁড়ানো মেয়েটাকে ...!
ছেলেটা নাম ধরে চিতকার করতে লাগল আপনি
কিছু একটা করুন, কিছু একটা করুন ... শব্দের চেয়ে জল সহজে এল ঠোঁট পর্যন্ত ... বিছানায় মেয়েটা কেঁপে উঠল...
শ্বাস ... প্রশ্বাস ...
ছেলেটা নাম ধরে ডাকল " কেমন আছেন ?"
মেয়েটা আত্মীয়দের তাকিয়ে " উনি কে ?"
ছেলেটা আজ আবার লিখছে... এই ঝিলটার পাশে ।।