ওসমান আলি পথেই থাকে
আস্তাকুড়ে খায়
জন্ম ধরেই সংগ্রামী সে
নিত্য অসহায়
ওসমান আলি পথের শিশু
পথেই পড়ে রয়
ওসমান আলির নাম ভাঙ্গানোই
মানব সেবার জয়
খোকন সোনা বলে না কেউ
নেয়না বুকে তারে
ওসমান আলির দিন কেটে যায়
নিত্য অনাহারে
ওসমান আলি ওসমান আলি
নগর দিল ফাঁকি
ওসমান আলির দুঃখ ব্যথা
নিযের বুকে আঁকি
ওসমান আলি কত ভাবেই
রাতের নগর দেখে
ভদ্রলোকের হায়না হওয়া
দিনের আলোয় ঢাকে
একরাতে এক মস্ত সাহেব
গাড়ি করে এসে
নবযাতক রেখে পালায়
আস্তাকুড়ের পাশে
ওসমান আলি ডুবছিল প্রায়
জীবন সরোবরে
পাগলি এসে লুকায় তারে
বুকের কোটরে
সেদিন থেকে ওসমান আলি
রিক্ত বুকের ধন
হায়রে মানব সভ্যতা তোর
আজব আয়োজন
পাগলি মা আর ওসমান আলি
কাটছিল দিন বেশ
পাগলি হঠাৎ পাড়ি দিল
অচিন নিরুদ্দেশ
তারপর আর ওসমান আলির
কাউকে লাগেনা
রাতে হঠাৎ ফুফিয়ে উঠে
আয় না ফিরে মা
ওসমান আলির বাবা হয়ত
বিখ্যাত এই দেশে
মা হয়ত ধনীর পুতুল
পানশালাতে নাচে
হয়ত ভালোবেসে তারা
সঙ্গী পরষ্পর
কাম বাসনার আগুন তাদের
পুড়ল চরাচর
ওসমান আলি আর বিধাতা
পরিচিত নয়
পথে থাকে বলেই হয়ত
হয়নি পরিচয়
ওসমান আলির দুঃখ ব্যথা
কাহার প্রানে সয়
আমার জানা বিধাতা সে
এমন হবার নয়
এ শহরের নিয়ন বাতি
বর্ণীল আলোকধারে
ছিন্নমূলের দুঃখ ব্যথা
বিদ্রুপ হয়ে ঝরে
ওসমান আলি ওসমান আলি
বুকের খাঁজে আয়
সভ্যতাটা জ্বালিয়ে দেবো
তোদের কবিতায়